খােলাবাজার ২৪,সোমবার, ২০মে ২০১৯ঃ পবিত্র রমজান মাস আসলেই রোজাদারের যে শরবতের কথা সর্ব প্রথম মনে পড়ে যায় তা হচ্ছে, হামদার্দের ‘রুহ আফজা শরবত’।তারা খুব ছোট বেলা থেকেই ইফতারের সময় এই শরবত দেখে আসছে।আজানের ধ্বনিতে রোজা ভঙ্গের সময় প্রথম পানীয় হিসাবে এই হামদার্দের ‘রুহ আফজা শরবত’ রোজাদারের কাছে একটা জনপ্রিয় নাম । রোজাদারের কাছে ইফতারের এক গ্লাস ঠান্ডা শরবত সত্যি মনে প্রানে এক সজীবতা এনে দেয়।
রোজাদারের মনে হয় এর চেয়ে দুনিয়াতে আর সহজ শরবত হতে পারে না। শুধু ঠাণ্ডা পানিতে গুলিয়ে নেয়া কিংবা পানিতে গুলিয়ে কিছু বরফ ছেড়ে দিলেই হল। যারা হালকা ফ্লেবার চান তারা শুধু একটু চিনি মিশিয়ে নিতে পারেন।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
ঠাণ্ডা পানিতে কিংবা গুলিয়ে বরফ কুচি/কিউব দিন।
কেমন রং আপনি চান সেটা আপনি নিজেই নির্ধারন করতে পারেন।
যার যে ভাবে পছন্দ! পরিবারের সবাই পছন্দ করবে এটা আশা করা যায় না। আমাদের পরিবারেরও আমার আম্মা আমাদের জন্য বানাতেন কিন্তু তিনি নিজে পান করতে পছন্দ করতেন না। আর এখন! আমার ব্যাটারীও এই শরবত পছন্দ করেন না! তিনি এর ঘ্রাণ সইতে পারেন না। আমি আর আমার ছেলে খুবই পছন্দ করি, বিশেষ করে ট্যাং বা কৃত্রিম কমলা লেবুর শরবত থেকে এটা আমার কাছে ভাল লাগে! হা হা হা… তবে হাতে বানানো লেবু শরবতই বেশী ভাল লাগে।
জাফরানি রংটা হৃদয়ে দোলা দেয়।
চুমুকেই শান্তি।
আহ…।
শরবত বানিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিলে গ্লাসের গা বেয়ে যে পানি জমে তা দেখেই মন ভরে যায়। এতে অবশ্য একটা পরীক্ষাও হয়ে যায়, বাতাসে কি পরিমাণ জলীয় বাষ্প আছে তা বুঝা যায়!
সারা দিন রোজা রাখার পর এমন সন্ধ্যায় ইফতারে এমন শরবত দেখে নিজকে আজান পর্যন্ত সংযত রাখাও একটা সংযম।
আহ…।
শরবত শুধু মনের ক্লান্তি দূর করে না, শরবত হচ্ছে একটা ভালবাসার নাম!
রেসিপি প্রিয় সকল ভাই বোন বন্ধুদের জানাই রমজানের শুভেচ্ছা। এই সংযমের মাসে আমার চাওয়া, আমরা সবাই যে আরো ভাল মানুষ হয়ে উঠতে পারি। খোশ আমদেদ মাহে রমজান। আপনারা সবাই ভাল থাকুন।