ইসরায়েলের সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর ভবনে যদি রাঁধুনি থাকে তাহলে বাইরে থেকে খাবার ‘অর্ডার’ দেওয়া বেআইনি। সারা ঠিক এই কাজটাই করেছিলেন বলে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি মেনে নিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে রাঁধুনি থাকা সত্ত্বেও তিনি ভুল তথ্য দিয়ে বাইরে ‘কেটারিং পরিষেবা’ নিয়েছিলেন। এবং তার জন্য বিল করেছিলেন ৯৯,৩০০ ডলার। প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অপরাধে গত বছর দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তিনি।
তার আইনজীবী আদালতে জানান, এই মামলার সঙ্গে সারার কোনো যোগ নেই। শুধুমাত্র তার স্বামীকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্যই এ সব করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। তার আরও যুক্তি ছিল, এই নিয়মকানুনের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী পত্নীকে জানানো হয়নি। এবং প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে খাবারদাবার তথা অতিথি-আপ্যায়নের দায়িত্বে থাকা ‘হাউসহোল্ড ম্যানেজার’ বাইরের কেটারিং সংস্থাকে পুরো অর্ডারটি দেন। যে অভ্যাগতদের নিমন্ত্রণ উপলক্ষে বরাতটি দেওয়া হয়েছিল, সেই অভ্যাগতদের খাবার পরিবেশনও করেছিলেন ওই ম্যানেজার। ফলে পুরো বিষয়টির খুঁটিনাটি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন না সেরা।এরপরই তার বিরুদ্ধে অভিযোগের গুরুত্ব কমানো হয়। প্রশাসনের তরফে আইনজীবী এরেজ পাদান জানান, অনেকটাই ছাড় দেওয়া হয়েছে সেরাকে। সেই সংশোধিত আর্জিতেই রাজি হয়েছেন সারা। সারা মেনে নিয়েছেন ১২,৪৯০ ডলার দেশের তহবিলে ফেরত দেওয়ার ও ২,৭৭৭ ডলার জরিমানা দেওয়ার আদেশও।