Mon. Apr 21st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪, রবিবার ২৩ জুন ২০১৯ঃ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, এমপি বলেছেন, ‘আসুন সকলে মিলে শুদ্ধ হই, সেবাধর্মী হই, দীর্ঘসূত্রিতা পরিহার করি এবং জনবান্ধব প্রতিষ্ঠানে পরিণত হই। কোনো সেবা প্রার্থিকে যেনো মন্ত্রণালয় থেকে কোনো অজুহাতে ফিরিয়ে দেওয়া না হয়। অহেতুক কারো ফাইল যাতে আটকে রাখা না হয়’।
আজ রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার বার্ষিক কর্মস্পাদন চুক্তি ২০১৯-২০২০ অনুষ্ঠান এবং মন্ত্রণালয়ের শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০১৭-১৮ এর সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, ‘রাজউক, গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ মন্ত্রণালয়ের সকল দপ্তর-সংস্থাকে জনবান্ধব করতে চাই। সকল বিভাগে পরিচ্ছন্নতা ফিরিয়ে আনতে চাই। একজন মানুষও যেনো আমাদের মন্ত্রণালয় ও দপ্তর-সংস্থায় সেবা নিতে এসে টাকার কারণে আটকে না থাকে, ঠুনকো অজুহাতে যেনো সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়’।
মন্ত্রী বলেন, ‘২৩শে জুন বাঙালী জাতির ইতিহাসে, বাংলাদেশের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। ২৩শে জুন আমাদের ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারকে ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। বাংলাদেশের যা কিছু বড় বড় অর্জন, তা কিন্তু আওয়ামী লীগের নের্তৃত্বে বাঙালী জাতির ইতিহাসে অবিসংবাদিত নেতা, কালজয়ী মহাপুরুষ, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নের্তৃত্বে হয়েছে’।
মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘অর্থনীতিতে সমৃদ্ধ, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, যেখানে থাকবেনা ঘুষ-দুর্নীতি, ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বৈষম্য, বাংলাদেশকে সে জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবিরাম পরিশ্রম করে চলেছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টিমের সদস্য। আমাদের প্রত্যেককে মনে রাখতে হবে, আমিসহ আমরা সকলে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭ অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের মালিক এ দেশের সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষদের কর্মচারী আমরা। আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। যাদের ট্যাক্সের টাকায় আপনাদের বেতন ও আমার সম্মানী দেওয়া হয়, যাদের কল্যাণের জন্য এই রাষ্ট্রব্যবস্থা তাদের জন্য আমরা একটি টিমে কাজ করছি। এটা অবশ্যই মনে রাখতে হবে। অতীতের ভূল, অশুদ্ধতা, অনাকাঙ্ক্ষিত অনিয়ম, দুর্নীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের আত্মশুদ্ধির প্রয়োজন। অতীতের গ্লানি, অনিয়ম, দুর্নীতি, অনৈতিকতাকে পরিহার করে আমাদেরকে শুদ্ধ হতে হবে। আমরা আশা করছি শুদ্ধাচার পুরস্কারে প্রত্যোকেই উৎসাহিত হবেন’।
এর আগে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার এর সাথে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ১২টি দপ্তর/সংস্থা যথাক্রমে গণপূর্ত অধিদপ্তর, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, স্থাপত্য অধিদপ্তর, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর, হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট, সরকারি আবাসন পরিদপ্তর ও অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা পরিদপ্তর এর প্রধানগণ বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০১৯-২০২০ সম্পন্ন করেন। অনুষ্ঠানের শেষে মন্ত্রী গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আখতার হোসেন, হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোহাম্মদ শামীম আখতার এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ সাইফুর রহমান-কে মন্ত্রণালয়ের শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০১৭-২০১৮ তুলে দেওয়া হয়।