Mon. Apr 21st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪,সোমবার ,১৫জুলাই,২০১৯ঃ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ৭টি প্রকল্পের আজ শুভ উদ্ভোধনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পর্যায়ক্রমে প্রত্যেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। আগে আট ভাগ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী আবাসন সুবিধা পেত। এখন ৪০ ভাগ পাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী  বলেন, আমরা যে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি, তাতে সরকারি, বেসরকারি চাকরিজীবীসহ বস্তিবাসীরাও ফ্লাটে বসবাস করার সুযোগ পাবে। বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহছাড়া থাকবে না। প্রতিটি মানুষ ঘর পাবে, জমি পাবে।
গণপূর্ত অধিদফতরের চারটি এবং জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তিনটিসহ মোট সাতটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সোমবার দুপুরে তিনি এ কথা বলেন।
ইস্কাটন গার্ডেন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। স্বাগত বক্তব্য দেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকার। সুইচ টিপে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে সাতটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি আমরা বেসরকারি মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্তদের জন্য ফ্ল্যাট প্রকল্প করেছি। উত্তরা, ভাষানটেক, মিরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে এসব ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হচ্ছে। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা জড়িত। তারা যেন মনোযোগ দিয়ে ভালোভাবে কাজ করতে পারে, আবাসন নিয়ে যাতে তাদের চিন্তা করতে না হয়, সে কারণে এ ব্যবস্থা নিচ্ছি।
তিনি বলেন, বস্তিবাসীরা যে ভাড়া দিয়ে অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় জীবনযাপন করে, সে তুলনায় ভাড়া অনেক বেশি। অমরা তাদের জন্যও আবাসনের পরিকল্পনা নিয়েছি। তারা দিনের ভাড়া, সাপ্তাহিক ভাড়া, এমনকি মাসের ভাড়া পরিশোধ করে সেখানে উন্নত পরিবেশে বসবাস করতে পারবে।
বর্তমানে সরকারি ফ্ল্যাটে বসবাসকারীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের জন্য চমৎকার ফ্ল্যাট তৈরি করে দিচ্ছে সরকার। এ ফ্ল্যাটগুলো নিজের সম্পদ মনে করে ব্যবহার করবেন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন। পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস খরচের বেলায় সাবধানী হবেন। কোনোক্রমেই এসবের অপচয় করবেন না। আপনাদের যে দামে পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস দেয়া হয়, তার চেয়ে খরচ অনেক বেশি পড়ে। যে ব্যয়ভার সরকার বহন করে।
আর্কিটেকচার ও প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখনেও ঢাকা ও ঢাকার চারপাশে যেসব পুকুর, খাল, লেক, ঝিল ও জলাশয় আছে, সেগুলো ভরাট করে বিল্ডিং করতে চাই,লে সে কাজ করবেন না। যেকোনো স্থাপনা নির্মাণ করবেন পরিবেশ প্রতিবেশ ঠিক রেখে। এটা আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ। আশা করি, এ অনুরোধটা রাখবেন।
তিনি বলেন, শহরের পাশাপাশি গ্রামের মানুষের জন্য আধুনিক আবাসনের সুযোগ সুবিধা তৈরি করা হবে। জেলা উপজেলায় পরিকল্পিত আবাসন না করা গেলে, এক সময় কৃষি জমি শেষ হয়ে যাবে। তিনি জেলা উপজেলায় আবাসন গড়ে তোলার জন্য মাস্টার প্লান করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।