Sun. Apr 20th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
খােলাবাজার ২৪,বৃহস্পতিবার,২২আগস্ট ,২০১৯ঃকিছুতেই থামছে না কিশোর অপরাধ। উঠতি বয়সী শিশু-কিশোররা জড়িয়ে পড়ছে মাদক চোরাচালান, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব ও খুনের মতো ঘটনায়। এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলার পাশাপাশি নিজেদের নানা নামে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে তারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ না থাকা ও পারিবারিক অনুশাসনের অভাবে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে শিশু-কিশোররা।

বয়স মাত্র সাত। এসব শিশুদের ব্যবহার করা হচ্ছে ছিনতাইয়ের কাজে। আবার বন্ধুদের হাত ধরেও মরণ নেশা মাদকে পা রাখছেন অনেক কিশোর।

স্কুল-কলেজ এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তার কিংবা দ্বন্দ্ব মেটাতে শিশু-কিশোররা কয়েকজন মিলে গড়ে তুলছে গ্যাং বাহিনী। প্রযুক্তির সহজলভ্যতায় এবং পাশ্চাত্য ধারা অনুকরণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নস্থানে নিজেদের পরিচয় করছে বিচিত্র সব নামে।

২০১৭ সালে ফেব্রুয়ারিতে উত্তরায় আদনান হত্যার পর আলোচনায় আসে কিশোর গ্যাং কালচার। বর্তমানে রাজধানীর হাজারীবাগ, চকবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ২০টিরো বেশি কিশোর গ্যাং গ্রুপ রয়েছে। এরমধ্যে উত্তরার আশেপাশের এলাকায় এফএইচবি, ডিসকো বয়েস, নাইনস্টারসহ ১০টিরও বেশি গ্যাং গ্রুপ রয়েছে।

সমাজ বিজ্ঞানীরা বলছেন, কিশোর অপরাধ দমনে শিশু-কিশোরদের সামাজিক কাজে অংশগ্রহণের পাশাপাশি পারিবারিক অনুশাসন দরকার। অপরাধ বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান বলেন, ‘সামাজিক যে টানাপড়েন তৈরি হয়, তারই একতা অংশ গ্যাং কালচার। স্কুল ও পরিবারের মাঝে সেতুবন্ধন থাকা উচিত।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, অভিযান চলমান আছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ উপ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, ‘অনেক সময় তারা নামহীন ভাবে ফেসবুক ও হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে গ্যাং কালচার নিয়ন্ত্রণ করে। এসব দমনে আমরা সব সময় সোচ্চার আছি।’

তাদের মতে, অপরাধ দমনে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করাতে হবে কিশোরদের।

এসব গ্যাং বাহিনী বা কিশোর গ্যাং এর লাগাম টানা না গেলে আদনান ও রিফাত হত্যার মতো আরো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কিশোর অপরাধ দমনে আরো কঠোর হতে হবে। সেইসাথে বাবা-মাকে সন্তানের প্রতি আরও যত্নবান হতে হবে। তবেই না কমে আসবে কিশোর অপরাধ।