জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শুক্রবার বঙ্গভবনে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, মানুষ সামাজিক জীব। তাই শুধু নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত না থেকে সমাজ থেকে অন্যায়, অবিচার ও কুসংস্কার দূর করতে সকলকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
তিনি বলেন, জন্মাষ্টমী উৎসবকে শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতা ও আনন্দোৎসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে এর আবেদনকে একটি কল্যাণকামী সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজে লাগাতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, একটি মানবিক সমাজ গঠনে পারস্পরিক সদ্ভাব ও শ্রদ্ধাবোধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই সকল ধর্মেই পারিবারিক বন্ধনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পারিবারিক কাঠামোর বিবর্তন, ক্রমবর্ধমান নগরায়ন ও আধুনিকায়নের ফলে মানুষের কর্মব্যস্ততা বাড়ছে। এতে পারিবারিক বন্ধন ক্রমান্বয়ে শিথিল হয়ে আসছে এবং ঘটছে নানা সহিংস ঘটনা।
আবদুল হামিদ বলেন, সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ও পারিবারিক বন্ধনের শিথিলতা এর জন্য অনেকাংশে দায়ী। একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য এ অবস্থা মোটেই কাম্য নয়।
বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, আবহমানকাল থেকে এ দেশে সকল ধর্মের অনুসারীরা পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করে আসছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তাই আমাদের সুমহান ঐতিহ্য। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই ঐতিহ্য অব্যাহত রেখে জাতীয় অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনে তা কাজে লাগানোর জন্য আমি দেশের সকল ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আহবান জানাই।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, ভারতের হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশ, রামকৃষ্ণ মঠের অধ্যক্ষ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ মহারাজ।
এছাড়া হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
