Sun. Oct 26th, 2025
Advertisements

খােলাবাজার ২৪,বুধবার,১৮সেপ্টেম্বর,২০১৯ঃবাদশাহ দ্বিতীয় হাসান এ মসজিদটি তৈরি করেন। ফরাসি কোম্পানির হস্তক্ষেপে মসজিদের ভাষ্কর্য আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। মসজিদের দেয়ালে সরু নকশার কাজ দেখলে অবশ্যই বাহবা দিতে ইচ্ছে করবে ফরাসি স্থপতি মিশেল পিনচিউকে। মসজিদকে ভাসমান অ্যাখা দেয়ার কারণ এটা জানতে গেলে পাড়ি দিতে হবে আটলান্টিক সমুদ্রে।

জাহাজ থেকে ওই মসজিদকে দেখলে মনে হবে, টেউয়ের বুকে যেন মসজিদটি দুলছে। আর একটু কান পাতলে শোনা যাবে একযোগে মুসলমানদের নামাজ পড়ার সুর। মসজিদের তিনভাগের একভাগ নীল আটলান্টিকের ওপরে বিরাজমান। আর বাকি অংশটি সমুদ্রের তলায় রয়েছে বলে মনে হবে।

২২.২৪ একরের এই মসজিদে রয়েছে গ্রন্থাগার, কোরান শিক্ষালয়, আলোচনা-কক্ষ প্রভৃতি। এখানের প্রার্থনাগৃহে একসঙ্গে এক লাখ মানুষ নামাজ পড়তে পারেন। মিনারের উচ্চতা ২০০ মিটার। মেঝে থেকে ছাদের উচ্চতা ৬৫ মিটার এবং এর ছাদটি প্রতি ৩ মিনিট অন্তর কৃত্রিম উপায়ে খুলে যায়। যার ফলে মসজিদের ভেতরে আলো, বাতাস ঢুকতে পারে। মসজিদের বাইরে রয়েছে ১২৪টি ঝরনা ও ৫০টি ক্রিস্টালের ঝাড়বাতি। দ্বিতীয় হাসান মসজিদ-এর এই অভ‚তপূর্ব সৌন্দর্য চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না।