Fri. Sep 12th, 2025
Advertisements

খােলাবাজার ২৪, মঙ্গলবার, ২৪সেপ্টেম্বর, ২০১৯ঃ শেষ পর্যন্ত মহাসমাবেশ হবে কি হবে না, অনুমতি পাওয়া যাবে কি যাবে না- এ নিয়ে মহাসমাবেশের আগের দিন রাত পর্যন্ত অনিশ্চয়তা ছিল সিলেট বিভাগীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে। পূণ্যভূমি সিলেটের রেজিস্ট্রারি মাঠে পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশ ঘিরে দলটি সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল। কিন্তু মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত নিশ্চিত ছিল না সমাবেশে পুলিশের অনুমতি পাওয়া না-পাওয়ার ব্যাপারে।

অবশেষে সকাল ১০টার দিকে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল ৯টা ৩৩ মিনিটে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) বিএনপিকে মহাসমাবেশের অনুমতি দিয়েছে।

এ খবর গণমাধ্যমে আসার সঙ্গে সঙ্গেই বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে অনিশ্চয়তার কালো মেঘ সরে যায়। নতুন করে ঘুরে দাঁড়ায় হাজার হাজার নেতাকর্মী। মহাসমাবেশ ঘিরে ধীরে ধীরে আবারও প্রস্তুত হতে শুরু করে নেতাকর্মীরা।

এদিকে বিএনপির এই বিভাগীয় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে গোটা সিলেটে বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। একাদশ নির্বাচনের পরে এটাই সিলেটে বিএনপির সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক কর্মসূচি। আর এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির পথকে তরান্বিত করতে মরিয়া জাতীয়তাবাদী এই দলটির বিভাগীয় ও কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতারা।

মঙ্গলবারের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে এরইমধ্যে সিলেটের রেজিস্ট্রারি মাঠের চারপাশে অবস্থান নিতে শুরু করেছেন খালেদা জিয়ার মুক্তিকামী জনতা। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু কিছু নেতাকর্মীও সমাবেশস্থলের নানা প্রান্তে অবস্থান নিচ্ছেন। দুপুরের আগেই দলে দলে মিছিল নিয়ে এই মহাসমাবেশের ময়দান হাজার হাজার নেতাকর্মীর পদভারে প্রকম্পিত হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন দলটির নেতারা।

বিভাগীয় এই মহাসমাবেশকে ঘিরে গোটা সিলেট আজ উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে। ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড শোভা পাচ্ছে নগরীর প্রতিটি সড়কে ও মোড়ে মোড়ে। একটু আগেভাগেই সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান নিতে শুরু করেছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। মানুষের মধ্যে হতাশার কালো অন্ধকার সরে গিয়ে আশার সঞ্চার হচ্ছে, মানুষ প্রত্যাশা করছে- আজকের এই মহাসমাবেশ থেকে আসতে পারে দেশনেত্রীকে কারাগার থেকে মুক্ত করে আনার সময়োচিত দিকনির্দেশনা।