Sat. Oct 25th, 2025
Advertisements

মিয়ানমারের রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে তদন্ত করা ইয়াংহি লি শুক্রবার জাতিসঙ্ঘের সাধারণ সভায় উপস্থাপিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত বাকি রোহিঙ্গাদের জন্য পরিস্থিতি এখনও ‘ভয়াবহ রয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা তাদের গ্রাম ছেড়ে চলে গিয়ে জীবনযাপন করতেও পারে না। তাদের মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। এতে তাদের বেঁচে থাকার জন্য যে মৌলিক উপকরণগুলো প্রয়োজনও সেগুলোও ব্যাপকভাবে হ্রাস পাচ্ছে।

জেনেভা ভিত্তিক মানবাধিকার পরিষদ কর্তৃক নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত লি আরও জানান, ‘এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া নিরাপদ বা টেকসই হবে না।’

তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এছাড়া রোহিঙ্গাদের গ্রামে চালানো পরিবার-গণনা প্রক্রিয়ায় প্রশাসনিক রেকর্ড থেকে রোহিঙ্গাদের মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে তাদের প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা আরও হ্রাস পায়। সরকারের শরণার্থী প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে ‘জাতীয় শনাক্তকরণ কার্ড’ দেয়ার কথা বলা হয়েছে, কিন্তু তাতে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব পাওয়ার বিষয়টি সমাধান হবে না।

রোহিঙ্গা মুসলিমদের দাবি, মিয়ানমার তাদের নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা এবং তাদের ফেলে আসা জমি ও বাড়িগুলো ফেরত দিবে। তবে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতি রোহিঙ্গাদের নাগরিক বা এমনকি তাদের একটি নৃগোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছে, যা তাদের রাষ্ট্রহীন করে তুলেছে।

২০১৭ সালে আগস্ট মাসে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী অভিযান শুরু করলে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। জাতিগত নির্মূলকরণ এ অভিযানে রোহিঙ্গাদের ওপর ব্যাপক গণহত্যা, গণধর্ষণ, লুণ্ঠন ও তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে ফেলা হয়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে এখন প্রায় ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার শরণার্থী বসবাস করছে যাদের বেশিরভাগই ২৫ আগস্ট, ২০১৭ এর পর এ দেশে প্রবেশ করেছে।