বৃহঃ. মার্চ ২৮, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
খােলাবাজার ২৪,রবিবার,১০নভেম্বর,২০১৯ঃ বুলবুলের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকা এবং সুন্দরবনের একাংশ। ভেঙে পড়েছে গাছ-পালা ঘর-বাড়ি। ঝড়ের প্রভাবে উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাটে ৫ জন এবং কলকাতায় ১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আঘাত হানার আগেই প্রায় দেড় লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। কলকাতায়ও বেশ কিছু এলাকায় গাছ ভেঙে পড়েছে। নিচু এলাকায় জমেছে পানিও।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পুর্বাভাস যে অনেক অংশে নির্ভুল ছিল সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ঘণ্টায় ১১০ থেকে বেড়ে কোথাও ১২০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে বুলবুল।

কাকদ্বীপ-সাগরদীপ, নামখানা, ফ্রেঞ্জুগঞ্জ, বসিরহাট, হিঙ্গলগঘঞ্জ, সন্দেশখালি, হাসনাবাদে বুলবুল তান্ডব চালায়।

গাছ ভেঙে পড়ে বসিরহাটে হতাহতের ঘটনা ঘটে। বুলবুলের তান্ডবে ভেঙে পড়েছে বহু কাঁচা ঘরবাড়ি, নষ্ট হয়েছে বহু জমির সফল। ভারতীয় সময় শনিবার রাত ১০ টা থেকে বুলবুল রাত সাড়েটা ১২ পর্যন্ত তার তান্ডবলীলা চালায়। এরপরই গতিবেগ কমে বাংলাদেশে উপকূলে প্রবেশ করে ঘূর্ণিঝড়টি।

শনিবার রাত ১টা পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সরকারের সচিবালয় নবান্নে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নজরদারি করেন। একইভাবে কলকাতা পৌরসভা থেকেও মেয়র ফিরহাদ হাকিমও বুলবুলের উপর নজর রাখেন গভীর রাত পর্যন্ত।

রোববার সকালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কথা বলেন। ফোনে তিনি ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ক্ষয়ক্ষতির খবর নেন এবং সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।