Fri. Sep 12th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
খােলাবাজার ২৪,সোমবার,১৮নভেম্বর,২০১৯ঃ পেঁয়াজের পর এবার দাম বাড়তে শুরু করেছে চালের। দুএকদিন আগে যে দামে চাল বিক্রি হতো সেখান থেকে আজ কেজিতে দুই তিন টাকা বেশি বিক্রি হচ্ছে।

চালের দাম বাড়ার আশঙ্কা আগেই তৈরি হয়েছিল। রোববার খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশে চালের পর্যাপ্ত মজুত আছে এবং সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। পেঁয়াজের মতো চাল নিয়ে যেন কেলেঙ্কারি না হয়।

জানা গেছে, টিসিবির হিসাব অনুযায়ী চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত আর নাজির/মিনিকেট সাধারণ মান ৪৮থেকে ৫৩ টাকা; আর উত্তম মানের চাল ৫৩ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত।

আর মোটা চাল অর্থাৎ স্বর্ণা/চায়না/ইরি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে।

এক সপ্তাহ আগেও এই মোটা চাল বিক্রি হয়েছ ২৮ থেকে ৪০ টাকা দরে। এমনকি সরু বা চিকন চাল ছিলো ৪৫ তেকে ৫৬ টাকার মধ্যে।

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরেও চালের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে তুমুল শোরগোল শুরু হলে তখনকার বাণিজ্যমন্ত্রী দুজন চালকল নেতার বিরুদ্ধে মজুতদারির অভিযোগ এনে তাদের গ্রেফতারের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।

দাম বাড়তি নিয়ে রাজধানীর বাবুবাজারের শিল্পী রাইস এজেন্সির মালিক কাওসার হোসেন বলন, যে দামে এখন চাল বিক্রি হচ্ছে সেটি বছরের এ সময়ে সাধারণত যে দামে চাল বিক্রি হয় তার চেয়ে কেজি প্রতি গড়ে ৪/৫ টাকা করে বেশি।

তিনি বলেন, দাম এখন একটু বাড়তির দিকে। এক সপ্তাহ আগেও যে দামে চাল বিক্রি করেছি, এখন তার চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ মিল থেকে আমাদের কেজি প্রতি ৪/৫ টাকা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় পাইকারি বিক্রেতারা মিল মালিকদের দায়ী করেছেন। তবে বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাস্কিং মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কেএম লায়েক আলী বলছেন, ধানের দাম একটু বেড়েছে বলে মিনিকেট চালের দাম সামান্য বেড়েছে।

তিনি বলেন, যে ধানটা আমরা ২০/২২ দিন আগেও ৮৫০ টাকায় কিনেছি সেটা এখন ১০২০ টাকা ধরে কিনছি। এ কারণে সামান্য দাম বাড়লেও খুব একটা প্রভাব পড়বে না বলে তিনি দাবি করেন।