Fri. Oct 17th, 2025
Advertisements
খােলাবাজার২৪,শনিবার,১১জানুয়ারি,২০২০ঃ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের সালেম শহরের অসহায় এক নারী প্রেমা (৩১)। সাত মাস আগে আত্মহত্যা করেছেন তার স্বামী, আপাদমস্তক ঋণে জর্জরিত প্রেমা।

হাতে কানাকড়িও নেই। অন্যের কাছে হাত পেতেও সাহায্য পাননি। খাবারের জন্য কাঁদছে তার তিন সন্তান। অবশেষে নিজের চুল বিক্রি করে সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিয়েছেন অসহায়-দরদি এই মা।

এ ব্যাপারে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজএইটিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার প্রেমার কাছে কানাকড়িও ছিল না। চোখের সামনে ছটফট করছিল ক্ষুধার্ত তিন সন্তান! একজনের বয়স পাঁচ, বাকি দু’জন আরও ছোট। বাড়িতে খাবারের জন্য কিছুই ছিল না। বাধ্য হয়ে কয়েক জনের কাছে হাতও পাতেন।

সবাই তাকে তাড়িয়ে দেয়। দিশেহারা অবস্থায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রেমা। ভেবে পাচ্ছিলেন না কী করবেন। ঠিক সেই সময়েই রাস্তা দিয়ে এক ফেরিওয়ালা পরচুলা বানানোর জন্য চুল কিনবেন বলে হেঁকে যাচ্ছিলেন! এক মুহূর্তও আর ভাবেননি প্রেমা!

নিজের চুল কেটে ১৫০ টাকায় বিক্রি করেন। ১০০ টাকা দিয়ে সন্তানদের জন্য খাবার কেনেন। বাকি টাকা নিয়ে পাশেই একটি দোকানে কীটনাশক কিনতে যান প্রেমা।

প্রেমার এই ঘটনার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন জি বালা নামের এক গ্রাফিক ডিজাইনার। তিনি লেখেন, ‘প্রেমা বিষাক্ত আরালি বীজ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু বোন এসে তাকে আটকায়।’

জানা গেছে, ওই ঘটনা পোস্ট করার পর তার সাহায্যে অনেকে এগিয়ে আসেন। তার জন্য সংগ্রহ করা হয় ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। বৃহস্পতিবার সালেম জেলা প্রশাসন প্রেমার মাসিক বিধবা ভাতা চালু করে দেয়। বর্তমানে বালার এক বন্ধুর ইটভাটায় কাজ করছেন প্রেমা।