“আমরা সংসদে উত্থাপিত এই বিলের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র নিন্দা নয়, ধিক্কার জানাচ্ছি। এই আইন পাস না করার জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় এই করোনাকালের মধ্যে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।”
বছরে একাধিকবার বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম পরিবর্তনের সুযোগ রেখে মঙ্গলবার ‘বালাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) বিল-২০২০ সংসদে তোলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ
পরে ৩০ দিনের মধ্যে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
২০০৩ সালে প্রণীত বিদ্যমান আইনের বিধান ছিল- কমিশনের নির্ধারিত ট্যারিফ কোনো অর্থবছরে একবারের বেশি পরিবর্তন করা যাবে না, যদি না জ্বালানি মূল্যের পরিবর্তনসহ অন্য কোনো পরিবর্তন ঘটে।
বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, “ফাঁকা অর্থভাণ্ডার পূরণ করতে জনগণকে বুলডোজার দিয়ে পিষে এখন বছরে একাধিকবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধি করে টাকা সংগ্র্রহ করা হবে। করোনার দুযোর্গকালেও কর্মহীন, আয়হীন মানুষের রক্ত শোষণ করে জনগণকে মৃত লাশ বানিয়ে এরা টাকা আদায় করছে।
“এমনিতেই বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলের উৎপীড়ণে কম আয়ের মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। তারপর ওপর বছরে বারবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হলে এক নরকের মধ্যে ঠেলা দেয়া হবে দেশকে। দেশের এই ক্রান্তিকালে জনগণের কাছ থেকে টাকা চুষে নিতে ড্রাগের নেশার মতো পেয়ে বসেছে সরকারকে।”
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সম্পর্কে মঙ্গলবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যকে ‘অসত্য ও অশোভন’ উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছেন রিজভী।
“প্রধানমন্ত্রী আবারো স্বাধীনতার ঘোষক সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে সংসদে অসত্য ও অশোভন কথা বলেছেন, যা অসুস্থ মনের প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়। অন্যকে দোষারোপ না করে নিজের লোকদের দিকে তাকালে আপনি ইতিহাসের বহু মীরজাফর দেখবে পাবেন। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও অপবাদ দেয়ার মানেই মুক্তিযুদ্ধকেই অপমান করা বলে আমরা মনে করি।”
কুষ্টিয়া সদর যুবদলের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বিপ্লবকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবিও জানান তিনি।