Sat. Oct 18th, 2025
Advertisements

আজ বুধবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার মূল গেটের সামনে বাজেট প্রতিক্রিয়া নিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তারা।

বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির সিনিয়র সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, গত এক শ বছরে পৃথিবীতে এ দুর্যোগে মহামারি আমরা দেখিনি। মঙ্গলবার আমরা দেখেছি বাজেট পাস হয়েছে। এ বাজেট জনগণকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য। আমরা যাতে সংসদে এ বাজেট নিয়ে কথা না বলতে পারি, সমালোচনা করতে না পারি সেজন্য মাত্র একদিনের জন্য সাধারণ বাজেট আলোচনা করা হয়। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন আলোচনাবিহীন বাজেট কখনও পাস হয়নি। এ মহান সংসদের সামনে দাঁড়িয়ে বলছি, আমরা জনগণের পক্ষে এ বাজেট প্রত্যাখান করছি।

সাংসদ হারুনুর রশীদ বলেন, বিএনপির সাংসদদের মধ্যে আমাকে সংসদে খুব অল্প সময়ের জন্য বাজেট বক্তৃতায় কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়েছিল। এই বাজেটের বক্তৃতায় এক পর্যায়ে স্পিকার আমার মাইক বন্ধ করে দিয়েছেন। আমরা বাজেট ঘোষণার আগে একটা প্রস্তাব দিয়েছিলাম যে, এই বাজেট অধিবেশন ভার্চুয়াল করার জন্য কিন্তু সেটা করা হয়নি। আমাদের সাংসদদের এই বাজেট প্রতিক্রিয়া নিয়ে কথা বলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আমরা শুধু এটুকু বলতে চাই, যারা মহাজোটের শরিক তারাই বিরোধী দলে অংশগ্রহণ করছে। তার ফলে জনগণের যে সংকট সেটি সত্যিকার অর্থে সংসদে প্রতিফলিত হচ্ছে না।

সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, বাজেট অধিবেশন সংসদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশন। এই অধিবেশনে দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে বাজেটের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ জাতির স্বার্থেই খুব জরুরি। করোনাকালীন স্বাস্থঝুঁকির কথা বিবেচনায় নিয়ে এবারের বাজেট অধিবেশন অতি সংক্ষিপ্ত করতে চেয়েছে সরকার। কিন্তু আমাদের পক্ষ থেকে এই অধিবেশন ডিজিটাল বা ভার্চুয়ালি করার প্রস্তাব দিলেও তা গ্রহণ করা হয়নি। গত ১৫ জুন অনির্ধারিতভাবে ২৩ জুন পর্যন্ত বর্তমান অধিবেশন মূলতবি করে মাত্র এক দিন (২৩ জুন) বাজেটের সাধারণ আলোচনা করা হয়েছে। এটা অকল্পনীয়।

তিনি বলেন, আমাদের বিশ্বাস করোনার মতো ভয়ঙ্কর একটা সংকটে যে যাচ্ছেতাই বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে, সেটার সমালোচনা এড়ানোর জন্যই অধিবেশন সংক্ষিপ্ত করে তড়িঘড়ি করে শেষ করতে চেয়েছে সরকার।