Tue. Oct 14th, 2025
Advertisements

খােলাবাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ১০সেপ্টেম্বর, ২০২০: ঢাকার ধামরাইয়ে নান্নার ইউনিয়নের গোপালপুর সিলেটপাড়া গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ ঘর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহতরা হলেন, উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মুনছের আলী ছেলে জুয়েল (২৫) ও তার স্ত্রী মুনমুন আক্তার (২২)।

গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে আসেন মুনমুন। পরদিন সকালে তার লাশ পাওয়া গেল। এ ঘটনায় নিহতের দুই পরিবারে মাঝে শোকের মাতম চলছে। তাদের মৃত্যু নিয়ে চলছে জল্পনা কল্পনা। সবার মনে একই প্রশ্ন কেন এমন হলো?

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, উপজেলার গোপালপুর সিলেটপাড়া গ্রামের মুনছের আলীর ছোট ছেলে জুয়েল পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। প্রায় দুই বছর আগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার হাটুভাঙ্গা গ্রামের মুনমুন আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে তারা সুন্দরভাবে জীবনযাপন করছিল। মুনমুন একমাস বাবার বাড়ি থাকার পর গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে স্বামীর বাড়িতে আসে। মুনমুনের সংসারে তেমন একটা স্বচ্ছলতা নেই। স্বামী জুয়েল একজন রাজমিস্ত্রীর সহকারী হিসেবে কাজ করেন।

বুধবার রাতের খাবার খেয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে তারা। দুপুরে ঘুম থেকে না উঠলে স্থানীয়রা ঘরের দরজা ভেঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ খাটের উপর দেখতে পান। পরে ধামরাই থানা পুলিশে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।

স্থানীয়রা জানান, জুয়েলের স্ত্রী মুনমুনের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে তাদের সাথে কারো শত্রুতা ছিল কী-না তা কেউ বলতে পারেনি। জুয়েলের বাড়ি একটি নির্জন জায়গায় হওয়ায় আশেপাশে তেমন বাড়িঘর নেই। তার বাবা-মা ও অন্য দুইভাই একটু দূরে বসবাস করেন। খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া জুয়েলের বাড়িতে কেউ যেতেন না। বাড়ির চারপাশে বছরের বেশিরভাগ সময়ই পানি থাকে।

এ বিষয়ে নান্নার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলতাফ হোসেন মোল্লা জানান,‘নিহত জুয়েলের বাড়ি একটি ফাঁকা জায়গায়। তা ছাড়া যাতায়াত করার মত রাস্তাঘাট নেই। নৌকা করে ওই বাড়িতে যেতে হয়। স্বামী-স্ত্রীর লাশ পুলিশ নিয়ে গেছে। তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে নাকি তারা আত্মহত্যা করেছেন বিষয়টি বুঝা যাচ্ছে না।’

এ ব্যাপারে ধামরাই থানা অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা জানান,‘স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে বুঝা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা।’