কারওয়ান বাজারে সৌদি এয়ারলাইনসের অফিস এলাকায় গিয়ে জানা গেছে, আজ সকাল ১০টা নাগাদ টিকেট দেওয়া শুরু হয়েছে। যাঁরা টিকেট পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যেও দুশ্চিন্তা কাজ করছে। তাঁদের ফ্লাইট আগামীকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে। এর মধ্যেই তাঁদের করোনা টেস্টের রিপোর্ট হাতে রাখতে হবে। তবে আজ করোনা টেস্ট করিয়ে এরপর রিপোর্ট পেতে ২৪ ঘণ্টা লেগে যেতে পারে। আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টার আগে তাঁরা করোনা রিপোর্ট হাতে পাবেন কিনা, এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
অন্যদিকে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, যাঁরা সৌদি আরব যাবেন, সকাল ১০টা থেকে তাঁদের টিকেট দেওয়া হচ্ছে। এর আগে আজ ভোর থেকেই শত শত টিকেটপ্রত্যাশী অপেক্ষা করছেন। এখানে যাত্রীরা বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়েছেন। নানা অভিযোগ তুলছেন তাঁরা। তবে তাঁদের জন্য বিমানের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
এদিকে, এখন শুধু রিয়াদ ও জেদ্দার যেসব যাত্রী আছেন, তাঁদের টিকেট দেওয়া হচ্ছে এবং দাম্মাম ও মদিনার ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি। যাত্রীরা অভিযোগ করছেন, এখানে অধিকাংশই দাম্মামের যাত্রী।
অনেকের অভিযোগ, তাঁরা অগ্রিম যে টিকেট কেটে এসেছিলেন, যাওয়ার জন্য তাঁরা সে টিকেট আবার রিনিউয়াল করিয়েছেন। কিন্তু সেই টিকেট আবার বিক্রি হয়ে গেছে।
এদিকে, করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশে আটকেপড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের সৌদি আরবে কর্মস্থলে ফেরাতে দুটি বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছে রাষ্ট্রীয় সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।
ফ্লাইট দুটির একটি ২৬ সেপ্টেম্বর জেদ্দার উদ্দেশে এবং ২৭ সেপ্টেম্বর আরেকটি ফ্লাইট রিয়াদের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাবে। তবে এ দুটি ফ্লাইটে শুধু যাঁদের রিটার্ন টিকেট কেটে রাখা ছিল, তাঁরাই যেতে পারবেন।