খােলাবাজার২৪,মঙ্গলবার ২৬ জানুয়ারি ২০২১ঃ নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, ভূমি দখল স্বজনপ্রীতি ও অশালীন আচরণ সহ বিস্তর অভিযোগ ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলাধীন আবুবকরপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সিরাজ জমাদারের বিরুদ্বে। চেয়ারম্যান হওয়ার সুবাদে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি দুর্নীতির মাধ্যমে বানিয়েছেন অঢেল সম্পদ। হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। সাধারণ জনগনের জমি থেকে শুরু করে সরকারের খাস জমিও রেহাই পায়নি তার দখল থেকে। অনুসন্ধানে জানাযায়, চরফ্যাশন উপজেলাধীন কাউট্রার বিলে সরকারি খাস জমি দখল করে বাড়ি করা সহ মাছের প্রজেক্ট তৈরি করেছেন চেয়ারম্যান সিরাজ জমাদার, তাহের নামক এক মুক্তিযোদ্ধার জমি দখল করে নিয়েছেন চেয়ারম্যান। তাছাড়া রৌদ্রেরহাটের দক্ষিণ পার্শ্বে মিলন চৌকিদার নামক এক ব্যক্তির ২ টি ঘর জবরদখল করে আছেন তিনি, গনিমুন্সী চৌমুহনীতে আঃ খালেক গংদের জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও ভায়োলেশন মামলা থাকার পরেও সিরাজ চেয়ারম্যান এর ছেলে এমরান ও আবুবকরপুর ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার আজিজল হক সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে গত ৩১ শে ডিসেম্বর রাতের আধারে একটি জমি জবর দখল করেছেন। এলাকাটিতে চেয়ারম্যানের একক আধিপত্য বিস্তারের কারনে পুলিশ নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করেন। মহামান্য আদালতের আদেশের চেয়ে চেয়ারম্যান সিরাজের আদেশ দুলারহাট থানা পুলিশের কাছে অধিক গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন এলাকাবাসী। অনুসন্ধানে আরোও জানাযায়, আবুবকরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজ জমাদার তার সধবা ৩ বোন সুরমা বেগম, ইয়ানুর বেগম ও রেখা বেগমদের স্বামী জীবিত থাকতেও তাদের নামে বিধবা ভাতার কার্ড করিয়েছেন। দুই ছেলে অন্তর জমাদার ও এমরান জমাদার জেলে না হয়েও ভোগ করছেন জেলে কার্ড এর সরকারি সুবিধা । দরিদ্র ও নিম্নবিত্তদের সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি (ওএমএস) এর ১০ টাকা কেজি দর চালের কার্ড করতে কার্ড প্রতি ৩৫০ টাকা করে দিতে হয়েছে চেয়ারম্যান সিরাজকে। কৃষকদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি সার অবৈধভাবে বিক্রি করছেন অন্যত্র। পুরো এলাকা জুরে সারের ডিলার কাউকে নিতে দেয়না চেয়ারম্যান । কারন চেয়ারম্যান ও তার মেয়ের জামাই সারের ডিলার। তাই গোটা এলাকার সারের ডিলারশীপ নিজেরাই নিয়ন্ত্রণ করেন। সিরাজ চেয়ারম্যানের রয়েছে নিজস্ব সন্ত্রাস বাহিনী। পুরো আবুবকরপুর ইউনিয়ন এর পাড়া-মহল্লায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তারা।সৃষ্টি করেছেন দখলবাজী ও ত্রাসের রাজত্ব। এদের ভয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্বে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। সিরাজ জমাদারের ছেলে এমরান জমাদার দুই সন্তানের জনক। পড়ালেখার সাথে নেই কোন সম্পর্ক, নেই কোন স্কুল,কলেজ বা ভার্সিটিতে ভর্তি। তার পরেও রয়েছেন আবুবকরপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন,যারা টাকা দিতে পারে তাদেরকে চেয়ারম্যান রিলিফের কার্ড দেন। মুক্তিযোদ্ধা তাহের বলেন, আমার ১০ করা জমি সিরাজ চেয়ারম্যান দখল করে নিয়েছে। টাকা ছাড়া কাউকে কার্ড দেয়না। আমি সাংবাদিকদের কাছে এসব বলাতে চেয়ারম্যান নিজে হোন্ডায় করে এসে আমাকে হুমকি দিয়ে গেছেন।বলেছেন রিলিফের কার্ড নিতে টাকা লাগে এটা সবাই জানে কিন্ত তুই সাংবাদিকদের সামনে এই কথা বলছোস কেন? তোকে পরে দেখে নিবো। এসব বিষয়ে সিরাজ চেয়ারম্যান এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাউট্রার বিলে আমি আট গন্ডা জমি দখল করে বাড়ি করেছি, কোন মুক্তিযোদ্ধার জমি দখল করিনি, রিলিফের কার্ড করতে টাকা নেইনা,বোনদের বিধবা ভাতার কার্ডটি আমার মায়ের ছিলো। মা মারা যাবার সময় বলে গিয়েছিলো তার বিধবা ভাতার কার্ডটি আমার বোনকে দেওয়ার জন্য। তাই বোনদের নামে কার্ড দিয়ে ছিলাম। ছাত্র না হলেও ছেলে এমরানকে মন্ত্রীমহোদয় ছাত্রলীগের কমিটিতে রাখছে। সারের ডিলার তিনি নিজে নন। তবে তিনি সাব ডিলার। চেয়ারম্যান সিরাজ জমাদারের এই জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি কামনা করছেন আবুবকরপুর ইউনিয়নবাসী।