Sun. Jun 8th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার২৪, শুক্রবার, ১৯র্মাচ ২০২১ঃ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগদানের বিরোধিতাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধিতা বলে মনে করে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কেন্দ্র (সিবিআইআর)।

আজ শুক্রবার সিবিআইআরের পরিচালক শহিদুল হাসান খোকন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আগে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিগুলো ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এই অপশক্তিগুলো কেবল মুক্তিযুদ্ধের মহান চেতনাকেই নস্যাৎ করতে উদ্যত নয়; তারা বাংলাদেশেকে বন্ধুহীন-বিচ্ছিন্ন রাষ্ট্রে পরিণত করতেও অতিমাত্রায় সক্রিয়। সাম্প্রতিক সময়ে পরিকল্পিতভাবে অস্থিরতা ও বিভেদ সৃষ্টির এই অপচেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে দেশের অসাম্প্রদায়িক-প্রগতিশীল মানুষদের মতো বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কেন্দ্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’

বিবৃতিতে বলা হয়, “ঐতিহাসিক বন্ধনে আবদ্ধ চিরবন্ধুপ্রতিম বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের মাঝে অকৃত্রিম এক সেতুবন্ধন রচনায় নিবেদিত সিবিআইআর অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে, গত ১২ মার্চ তথাকথিত ‘বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের’ ব্যানারে রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে এক বিক্ষোভ মিছিল হয়। যেখানে বক্তারা অত্যন্ত আপত্তিকরভাবে বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর রাষ্ট্রীয়ভাবে আমন্ত্রিত অনুষ্ঠানে অতিথি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন বাংলাদেশ সফর প্রতিরোধ করার আহ্বান জানিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রধান মিত্র দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমন প্রতিহত করার ঘোষণা প্রকারান্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মাহুতি দেওয়া অগণিত ভারতীয় বীর সেনাদের প্রতিও চরম অশ্রদ্ধা।’

সিবিআইআর মনে করে, “এই ধরনের অপতৎপরতা যেভাবে বেড়েই চলছে, তাতে আমরা স্পষ্টতই দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করতে এবং দেশকে বন্ধুহীন করার এক সুগভীর নীল-নকশার জাল বিস্তারই তাদের লক্ষ্য। ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো পথেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির ভিত্তি রচিত। সেই নীতি ও আদর্শকে অবলম্বন করেই বাংলাদেশ বন্ধুপ্রতিম ভারতসহ অপরাপর রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির পথে হাঁটছে। আঞ্চলিক এই স্থিতিশীলতাই চক্রান্তকারীদের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা মনে করি, এই অপশক্তিগুলো যে দেশবিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত অবিলম্বে তাদের আইনের আওতায় এনে চক্রান্তের মুলোৎপাটন করা অত্যন্ত জরুরি। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে যে সমৃদ্ধি ও স্বাতন্ত্র্য নিয়ে যেভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে তাকে অর্থবহ ও টেকসই করতেও এসব অপশক্তির বিষদাঁত উপড়ে ফেলা জরুরি। আমরা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সরকারকে এবিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।