দেশ স্বাধীন না হলে আমি কোন দিনই অগ্রণী ব্যাংকের এমডি হতে পারতাম না। বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে প্রথম ২০১০ সালে অগ্রণী ব্যাংকে মৌলভীবাজারের আঞ্চলিক আঞ্চলিক কার্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার, স্থাপন করি, আমি আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের এমডি থাকা অবস্থায়ও ২০১৫ সালে বঙ্গবন্ধুর ৪১তম শাহাদতবার্ষিকীতে ব্যাংকটির দ্বিতীয় তলায় চেয়ারম্যানের কক্ষ ও বোর্ডরুম সংলগ্নে দ্বিতীয় ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ স্থাপন করি।
খােলাবাজার২৪, রবিবার, ২১ র্মাচ ২০২১ঃ নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে যোগদান করেন । তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী স্মরণীয় করে রাখতে সারা দেশে অগ্রণী ব্যাংকের শাঁখা গুলোতে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ স্থাপন করার সিদ্বান্ত নিয়েছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে প্রথম ২০১০ সালে অগ্রণী ব্যাংকে মৌলভীবাজারের আঞ্চলিক আঞ্চলিক কার্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার, স্থাপন করেন। যখন তিনি এই কর্ণার চালু করেন তখন তাকে অনেকই বিভিন্নভাবে সমালোচনা করেছেন । আজ সরকারই সারা দেশে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ স্থাপন করার সিদ্বান্ত নিয়েছেন তিনি তাতে মহাখুশী।
অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে প্রত্যেকটি বিভাগীয় শাখায় ‘মুজিব কর্ণার’ করার সিদ্বান্ত নিয়েছেন।
ব্যাংকের উদ্যোদ্যোগে সারাদেশে দুইমাস ব্যাপি ভ্রাম্যমাণ ‘মুজিব কর্ণার’ রাখেন তিনি। বিনামূল্যে বীরাঙ্গনাদের মাঝে সেলাই মেশিন দিয়েছেন। উত্তরবঙ্গের মঙ্গা ও চর এলাকায় একটি আদর্শ গ্রাম করেছেন। যেখানে রাস্তা, টিউবওয়েল স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা রয়েছে।আর বঙ্গবন্ধুর নামে চর এলাকায় একটি রাস্তা করা হয়েছে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে আমরা (অগ্রণী ব্যাংক) প্রতিবছর শিশু পদক দিয়ে থাকি এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে শিশু একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু গোল্ড মেডেল দিয়েছি ।
তিনি আরও বলেন, মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার মুখে আমরা একটি বঙ্গবন্ধু মোরাল স্থাপন করছি। এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর মেধাবীদের গোল্ড মেডেল দেয়া হয়। এবার আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবীদের বঙ্গবন্ধ গোল্ড মেডেল দিয়েছি।
মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম বলেন, আজ সারা দেশে সরকার ‘মুজিব কর্ণার’ করার সিদ্বান্ত নিয়েছে তাতে আমার চেয়ে বেশি আর কেউ খুশি নয়।আমি ২০১০ সালে অগ্রণী ব্যাংকে মৌলভীবাজারের আঞ্চলিক প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনে ছিলাম সেই সময় মৌলভীবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ে প্রথম ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার, স্থাপন করি।আমি একমাত্র বঙ্গবন্ধুর কারণে অগ্রণী ব্যাংকের এমডি হতে পেরেছি। দেশ স্বাধীন না হলে আমি কোন দিনই অগ্রণী ব্যাংকের এমডি হতে পারতাম না। তাই তাকে ভালোবেসে মনের টানে এই “বঙ্গবন্ধ কর্ণার” করি।
অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম বলেন, আমি আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের এমডি থাকা অবস্থায়ও ২০১৫ সালে বঙ্গবন্ধুর ৪১তম শাহাদতবার্ষিকীতে ব্যাংকটির দ্বিতীয় তলায় চেয়ারম্যানের কক্ষ ও বোর্ডরুম সংলগ্নে আমি দ্বিতীয় ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ স্থাপন করি।
অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে যোগদানের একশ’ দিনের মধ্যে প্রধান কার্যালয়ের চেয়ারম্যান, এমডিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ফ্লোরের প্রবেশদ্বারে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করেছি। এখানে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ১০০ কেজি ওজনের ব্রোঞ্জের একটি আবক্ষ ভাস্কর্য। আরও আছে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত বিভিন্ন বই, বক্তৃতার সিডি, অ্যালবামসহ বিভিন্ন প্রকাশনা। এখানে স্থাপিত মনিটরে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনার ব্যবস্থা রয়েছে।
অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শামস-উল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন নিয়ে ব্যাংকের ভেতরে নানা সমালোচনা শুনেছি। সেসব উপেক্ষা করে আমি বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করেছি।
অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শামস-উল ইসলাম এর বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপনে সরকার উৎসাহিত হয়ে রাজশাহীতে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে এক হাজার ৯৮০টি বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করেছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েও বেশ কয়েকটি বঙ্গবন্ধু কর্নার তৈরি করা হয়েছে। সর্বশেষ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের নির্দেশে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রায় একই আদলে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করেন। অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও এ রকম উদ্যোগ নিচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ স্মরণীয় করে রাখতে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শামস-উল ইসলাম এর এটাই জাতীর জন্য শ্রেস্ট উপহার।
