Sun. Jun 8th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
খােলাবাজার২৪, সোমবার ২২র্মাচ ২০২১ঃ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণ বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। তবে এ জন্য কোনো কঠোর কর্মসূচিতে যাচ্ছে না সংগঠনটি।  সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন হেফাজত নেতারা এসব কথা জানান।  সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই গুরুত্বপূর্ণ আয়োজনে নরেন্দ্র মোদির মতো একজন ব্যক্তি আসুক এটা আমরা চাই না।আমরা দেশের অধিকাংশ মানুষের সেন্টিমেন্টের প্রতি সম্মান জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারের নিকট নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণ বাতিলের আহ্বান জানাই। আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, মুসলমান হিসেবে ঈমানি দায়িত্ব ও দেশ প্রেমের দায়বোধ থেকেই নরেন্দ্র মোদির আগমনের বিরুদ্ধে আমাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন মুসলিমবিদ্বেষী হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত। তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে তার প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে হত্যাযজ্ঞের ইতিহাস ভুলে যাওয়ার মতো নয়। ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস এবং সেখানে অন্যায়ভাবে মন্দির নির্মাণের সিদ্ধান্তে আমাদের হৃদয়ে রক্তপাত হয়। এছাড়াও কাশ্মীরে মুসলিম নির্যাতন এবং নাগরিকত্ব আইনসহ প্রতিটি মুসলিমবিরোধী সিদ্ধান্তের মূলহোতা এই নরেন্দ্র মোদি।

বছর খানেক আগে তার অনুসারীদের হাতে দিল্লিতে মুসলমানদের রক্তের বন্যা বয়ে গেছে। শত বছরের ঐতিহ্যবাহী মসজিদের মিনার ভেঙে সেখানে হিন্দুত্ববাদী গেরুয়া পতাকা টানানো হয়েছে।মোদির আমন্ত্রণপত্র বাতিলের জন্য রাজপথে সংঘাতমূলক কর্মসূচি না থাকলেও সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারি মামুনুল হক বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী না আসার জন্য একটি সংবাদ সম্মেলন কিংবা প্রতিবাদ জানানো অনেক কিছু। তবে এ ইস্যু নিয়ে আমরা কোনো সংঘাতে যাচ্ছি না। এমনকি রাজপথেও আমাদের কোনো পরিকল্পনা নেই।যদিও আগে দেওয়া বিভিন্ন বক্তব্যে হেফাজত নেতা মামুনুল হক কোনোভাবেই নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছিলেন। সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় হিন্দু অধ্যুষিত নোয়াগাঁও গ্রামে হামলার সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের কোন সম্পৃক্ততা নেই বলেও দাবি করেছেন সংগঠনটির নেতারা।