Wed. Aug 27th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার২৪,বৃহস্পতিবার,১৫জুলাই,২০২১ঃ গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরে গতকাল দুস্থদের হাতে খাদ্য সহায়তা তুলে দেন কালের কণ্ঠ শুভসংঘের সদস্যরা লাঠিতে ভর দিয়ে হাঁটেন ৯০ বছর পেরোনো দিপজান বেগম।অভাবী এই নারীর হাতে বসুন্ধরা গ্রুপের ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন কালের কণ্ঠ শুভসংঘের সদস্যরা। ত্রাণের বস্তা হাতে পেলেও বহনের শক্তিটুকু যেন নেই তাঁর। বাড়ি যাওয়ার রাস্তা এত খারাপ যে রিকশাও যেতে চায় না। অগত্যা শুভসংঘের পক্ষ থেকে এক কিলোমিটার দূরে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে সেই ত্রাণ।

করোনায় লেখাপড়া স্থবির হয়ে পড়েছে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়া শিল্পী আক্তারের।বাবা আসতে না পারায় সে নিজেই চলে এসেছে বসুন্ধরা গ্রুপের উপহারসামগ্রী নিতে। তার বস্তাও ভ্যান পর্যন্ত এগিয়ে দিয়েছেন শুভসংঘের এক সদস্য। ত্রাণ সহায়তা পেয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছে শিল্পী।

শুধু দিপজান বা শিল্পীই নয়, গতকাল বুধবার গাইবান্ধা জেলায় এক হাজার ৫০০ অসহায় ও অতিদরিদ্রের মধ্যে বসুন্ধরা গ্রুপের ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন কালের কণ্ঠ শুভসংঘের সদস্যরা।গতকাল সদর উপজেলার কামারজানী বণিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩০০ জনকে, সাদুল্যাপুর উপজেলার সাদুল্যাপুর কে এম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩০০ জনকে, সাঘাটা উপজেলার কাজী আজহার আলী সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩০০ জনকে এবং গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চাকা সংস্থা মাঠে ৩০০ জনকে ত্রাণ দেওয়া হয়।

কামারজানী বণিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ত্রাণ বিতরণে উপস্থিত ছিলেন কামারজানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জাকির, প্রধান শিক্ষক মো. সবুজ মিয়া, কামারজানীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. আসাদ প্রমুখ। এ সময় শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় কালের কণ্ঠ শুভসংঘ প্রান্তিক হতদরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে। এরই মধ্যে আমরা উত্তরবঙ্গের ছয়টি জেলায় ত্রাণ সহায়তা দিয়েছি। সামনেও আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। আমাদের শুভসংঘের স্বেচ্ছাসেবীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই কাজগুলো করছেন।বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা করছেন।’

সাদুল্যাপুর খোদেজা মেমোরিয়াল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ শাহরিয়ার খান বিপ্লব বলেন, ‘করোনার এই সময়ে খুব সুশৃঙ্খলভাবে বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় শুভসংঘের স্বেচ্ছাসেবীরা আমাদের গাইবান্ধা জেলায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করছেন। আমার এই উপজেলায়ও আজ তাঁরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আপনারা সবাই বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের জন্য দোয়া করবেন।’

আপন বলতে কেউ নেই রোকেয়া বেগমের। বৃদ্ধ বয়সে নিজের কুঁড়েঘরটিই শেষ সম্বল। এক বেলা না খেয়ে থাকলেও দেখতে আসে না কেউ। ত্রাণ পেয়ে তিনি বলেন, ‘তোমরা দয়া কইরা যা দিলা তা-ই খামু বাবা। আমার আর কেউ নাই। তোমাদের জন্য হাজার হাজার দোয়া। তোমাদের ভালো হোক, বসুন্ধরার ভালো হোক।’

কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন হাছেন আলী। চলতি মৌসুমে ক্ষেতে কোনো কাজ করতে পারছেন না। তিনি বলেন, ‘আষাঢ়-শাওন মাসে কাম-কাইজ করবার পারি না। অনেক ক্ষেত খালি পড়ে থাকে। তাই কেউ কামে ডাকে না।’ তিনি বলেন, ‘এহন খুব কষ্টে আছি। কোনো সাহায্যও পাই নাই। আজকে আপনারা চাল-ডাল-আটা দিলেন। অনেক ধন্যবাদ জানাই। আল্লার কাছে হাজার শুকুর। বসুন্ধরা গ্রুপের মালিককে ভালো করুক। তারে আরো দেক। আমাদের দেওয়ার মতো আরো সামর্থ্য দেক।’

সেখানে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নবী নেওয়াজ শেখ, থানার ওসি মাসুদ রানা, সাদুল্যাপুর উপজেলা শুভসংঘের সভাপতি মোরসালিন রহমান মুন্না, সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণ সাহা, রওশন আলম, জয় সরকার, সজীব সরকার, মোরশেদ আলম, বাঁধন সাহা, সাব্বির হোসেন, সিজ্জাত হাসান, শফিকুল ইসলাম, সুমন মিয়া, ওমর ফারুক, মেহেদী হাসান, এনামুল হক, আবদুর রহমান প্রমুখ।

ঘুরে ঘুরে হাঁড়ি-পাতিল বিক্রি করেন রাজু মিয়া। এতেই ঘোরে তাঁর সংসারের চাকা। পরিবারে আছেন বৃদ্ধ মা, স্ত্রী আর এক মেয়ে।করোনার টালমাটাল পরিস্থিতিতে বন্ধ রয়েছে তাঁর বিক্রি। ফলে পরিবার নিয়ে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। রাজু বলেন, ‘দিনগুলো খুব কষ্টে যাচ্ছে। এই সময় আপনাদের সাহায্য পেয়ে খুব উপকার হইল। পরিবার নিয়ে