Sat. Apr 19th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements


খােলাবাজার২৪,বুধবার,২৫আগস্ট,২০২১ঃ নাহার আকতার.মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) সংবাদদাতাঃ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পৌর সদর সহ ১৬ ইউনিয়নে স্থাপিত অধিকাংশ সড়ক সোলার বাতি ও হোম সিস্টেম সোলার বাতি অকেজো হওয়ায় গ্রামাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। আলোর নীচে হঠাৎ অন্ধকারে প্রত্যন্ত গ্রামের কোলহলমুখর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো ভূঁতরে পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। নিন্মামনের নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করায় নির্দিষ্ট মেয়াদের আগেই এগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে ২০১৭-১৮ ও ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ত্রাণ পুনর্বাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় টিআর, কাবিখা, ও বিশেষ বরাদ্ধের প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন সৌর বাতি স্থাপন করা হয়েছে। পৌরসভায় মসজিদ, মন্দির, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ রাস্তাঘাট, হাট বাজার ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১১শ’ সোলার সিষ্টেম ল্যাম্পপোষ্ট স্থাপন করা হয় । প্রতিটি ল্যাম্পপোষ্ট স্থাপনে সরকারি বরাদ্ধ ৫৬ হাজার ৪শ’ ৯০ টাকা। প্রতিটি সড়ক বাতি মেরামতের ওয়ারেন্টি ৩ বছর থাকলেও অধিকাংশ সড়কবাতি এখন অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে।সরেজমিনে দেখা গেছে, বহরবুনিয়া ইউনিয়নের ফুলহাতা বাজার, ঘষিয়াখালী, এসবি বাজার, নিশানবাড়িয়ার গুলিশাখালী, গরুরহাট বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বর , হোগলাবুনিয়ার ইউনিয়নের নাগেরহাট, লক্ষনের হাট, তেলিগাতির বাজার, কালুরবাজার, এতিমুল্লাহ, হরগাতি, উত্তর ঢুলিগাতি, পঞ্চকরন ইউনিয়নের পাচঁগাও বাজার, দেবরাজ, নতুন বাজার, উত্তর কুমারিয়াজোলা, মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বিশারীঘাটা বাজার, মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্ত্বর, বাদুরতলা, বারইখালী ইউনিয়নের শেখ পাড়া, ভরাঘাটা, তেতুঁলবাড়িয়া বাজারসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্নস্থানে বসানো ল্যাম্পপোষ্টের বাতিগুলো এখন অকেজো। র্দীঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে এসব ল্যাম্পপোষ্ট বাতি ।
বারইখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শফিকুর রহমার লাল, বহরবুনিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান টিএম রিপন জানান, সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ সড়ক ও হোম সিস্টেম সোলার প্যানেল ল্যাম্প পোষ্ট বাতি। এ বাতিতে শহর থেকে গ্রামাঞ্চলের রাস্তা-ঘাট আলোকিত হলেও অধিকাংশ লাইট অকেজো হয়ে আছে। নির্মান সামগ্রীর ত্রুটির কারনেই এ সমস্যা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে ।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান বলেন, সোলার প্যানেল বরাদ্ধ এখন আর নেই। ইতোপূর্বে দায়িত্বরত কর্মকর্তার সময়ে এ সড়ক বাতিগুলো বসানো হয়েছে। তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের জামানতের টাকা এখনও তাদের কাছে রয়েছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল ও ব্রীজ মাঠ পর্যায়ে এসব সৌরবাতি স্থাপনের কাজ করেছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ব্রীজ সোলার হোম সিস্ট্রেম রিজোনাল ম্যানেজার এমডি হাফিজুর রহমান বলেন, তারা ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে ৪শ’ এবং ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ৩৭৫টি সোলার ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ করেছেন । অনেকটারই মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। বর্তমানে মেয়াদ থাকা কাজের ৪২টি লাইট মেরামতের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকী কাজ অন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান করেছে।