Tue. Oct 14th, 2025
Advertisements

খোলাবাজার২৪, শনিবার,২৫ সেপ্টেম্বর,২০২১ঃ সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমানোর সরকারের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমানোর সরকারী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে দেশের মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও স্বল্পআয়ের মানুষের আয় হ্রাস পাবে। বিশেষ করে অবসরে যাওয়া মধ্যমসারির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দৈনন্দিন ব্যয় নির্বাহে সংকটে পড়বে এবং সমাজে ও পরিবারের এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

আজ শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।

নেতৃদ্বয় বলেন, ইতিপূর্বেও এর আগে সঞ্চয়পত্রের আয়ের উৎসে কর বৃদ্ধি করেছে সরকার। এখন আবার সাধারণ মানুষের সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার কমিয়ে তাদের আয় সংকুচিত করতে যাচ্ছে সরকার। যা দেশের লাখ লাখ মধ্যবিত্ত পরিবারের প্রবীণ, বিধবা, অবসরপ্রাপ্ত, ছোট চাকুরে পরিবারের প্রতি সরকারের নির্দয় নিষ্ঠুরতা ছাড়া কিছুই না।

তারা বলেন, দেশে ক্রমবর্ধমান দুর্নীতি, অর্থনৈতিক লুটপাট, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না নিয়ে অর্থমন্ত্রী সাধারন মানুষের আয়ে হাত দিয়েছেন। ক্রমাগত মূল্যস্ফীতি, দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল, ওষুধের দাম সবই বাড়ছে অথচ প্রতিবছরই অর্থনীতির সুস্থতার নামে সঞ্চয়পত্রে লাভের অংশে খড়গ চালানো হচ্ছে। সরকার একবারও ভাবছে না যে, এই সঞ্চয়পত্রের আয়ে বৃদ্ধ বয়সের ওষুধ, যে সন্তানটির লেখাপড়া এখনও শেষ হয়নি তার খরচ, বাড়ি ভাড়া, বর্ধিত বিদ্যুৎ বিল, ডাল-ভাতের বাড়তি খরচই মেটে না। সেখানে সঞ্চয়পত্রের লাভ কমিয়ে কমিয়ে এই লাখ লাখ পরিবারের কয়েক কোটি অসহায় মানুষকে বিপন্ন করে ফেলা হচ্ছে।

নেতৃদ্বয় বলেন, রাষ্ট্র কত খাতেইতো তো ভর্তুকি দেয়, প্রণোদনা দেয়, গাড়ি বাড়ি কেনার সুদমুক্ত ঋণ দেয়, বাবুর্চি, ড্রাইভার পালবার পয়সা দেয়। অথচ ১৫/২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকা মানুষদের দিকে ফিরেতো তাকায়ই না, উল্টো লভ্যাংশ কমিয়ে কমিয়ে রাস্তায় বসিয়ে দেবার অবস্থায় টেনে আনছে। এমন সিদ্ধান্ত স্রেফ নির্দয় নিষ্ঠুরতা। সরকারের এমন সিদ্ধান্তে সঞ্চয়পত্রের ওপর প্রকৃত নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর জীবন আরো নাস্তানাবুদ হবে।

তারা অবিলম্বে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।