শুক্র. মার্চ ২৯, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
১৮ মার্চ, খোলা বাজার অনলাইন ডেস্কঃ ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন হতে  ভিডিও কনফারেন্সিং এর  মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে ৩য় পর্যায়ে অবশিষ্ট ও ৪র্থ পর্যায়ে উপকারভোগী পরিবারের নিকট জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে শনিবার সকালে উপজেলা প্রশাসনিক কনফারেন্স কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় ও প্রেস ব্রিফিং করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুৎফুন্নেসা খানম। এসময় প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। তিনি সাংবাদিকদের তিনি জানান, আগামী ২২ মার্চ ২০২৩খ্রি: সকাল ১০.৩০মিনিটে  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন হতে  ভিডিও কনফারেন্সিং এর  মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে ৩য় পর্যায়ে অবশিষ্ট ও ৪র্থ পর্যায়ে ৩৯,৩৬৫টি উপকারভোগী পরিবারের নিকট জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করবেন। সে মোতাবেক, ইন্দুরকানী উপজেলার ৭৪জন উপকারভোগীদের নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মহোদয়  মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান কর্তৃক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ৭৪জন উপকারভোগীর মাঝে জমি ও ঘরের যাবতীয় দলিলসমূহ হস্তান্তর করবেন। এছাড়া তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সাল হতে অসহায় ছিন্নমূল, ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহন করেন।  তার এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১৯৯৭ সালে শুরু হয় আশ্রয়ণ প্রকল্প। সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকীতে ঘোষিত মুজিববর্ষে ।  বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন  ও গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।  তৎপ্রেক্ষিতে ইন্দুরকানী উপজেলায় ৩য় পর্যায়ের অবশিষ্ট ও ৪র্থ পর্যায়ে সর্বমোট ২১৪টি গৃহ  ৪র্থ পর্যায়ে  বরাদ্দ পাওয়া যায়। তন্মধে উদ্বোধনযোগ্য ৩য় পর্যায়ে অবশিষ্ট ও ৪র্থ পর্যায়ের নির্ধারিত ইন্দুরকানী উপজেলা ১ নং পাড়েরহাট ইউনিয়নে ৪৫টি, ২ নং পত্তাশী ইউনিয়নে ১৪ টি ও ৫নং চন্ডিপুর ইউনিয়নে ১৫টি করে সর্বমোট ৭৪টি ঘর উপজেলার ৭৪ জন উপকারভোগীদের উপহার দেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন উল্লিখিত ঘর সমূহের জন্য উপকারভোগী নির্বাচনকালে স্থানীয় এলাকার ভূমিহীন ও গৃহহীন অসহায়, প্রতিবিন্ধী, স্বামী পরিত্যাক্ত, বিধবা, নিঃসন্তান দম্পত্তিসহ সমাজের পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। প্রতি‌টি ঘ‌রের নির্মান বাবদ বরাদ্দ প্রদান করা হয় ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়া প্রত্যেক উপকার‌ভোগী‌কে দুই শতাংশ জ‌মি রে‌জি‌স্ট্রি ক‌রে দেয়া হ‌য়ে‌ছে। তাছাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহায়তায় বিনামূল্যে বৈদ্যুত্যিক সংযোগসহ মিটার স্থাপন সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়া, এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণের নিয়মিত তদারকিতে মানসম্মত নির্মাণ উপকরণ ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।  তিনি আরো বলেন, সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক ও জনপ্রতিনিধিগণসহ সকলের সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া  মিডিয়াতে ইতিবাচক তুলে ধরে সাংবাদিকগণ দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন। এ জন্য তিনি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।