Sat. Oct 18th, 2025
Advertisements

২৮ মার্চ খোলা বাজার অনলাইন ডেস্কঃ   অবিলম্বে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্য কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে আনা, দেশে পূর্ণ রেশনিং ব্যবস্থা চালু ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, যে কোনো অজুহাতে দেশে ভোগ্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। তেল, চাল, ছোলা, গমসহ বিভিন্ন পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ দেশে থাকার পরেও দাম বেড়েই চলেছে। টিসিবির ট্রাকে দীর্ঘ হচ্ছে মানুষের লাইন। একটু কম দামে পণ্য কেনার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও মানুষ খালি হাতে ফিরছে।

নেতেৃদ্বয় বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের অজুহাতে ভোগ্য পণ্যের দাম আরও কয়েক দফা বেড়েছে। অথচ এ যুদ্ধের প্রভাব দেশে উৎপাদিত পণ্যে বা বেশিরভাগ ভোগপণ্যে পড়ার কথা নয়।

তারা আরো বলেন, কয়েকটি সিন্ডিকেট কারসাজি করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে গরিব মেহনতি মানুষের পকেট কাটছে। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কার্যকর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। খরচ কমিয়েও প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য কিনতে পারছে না সাধারণ মানুষ। দাম বৃদ্ধি এখন যে পর্যায়ে আছে তা সাধারণের নাগালের বাইরে চলে গেছে। এরপর মধ্যবিত্তের পক্ষেও আর প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য কেনা কঠিন হবে। শুধু উচ্চবিত্তরা কিনে খেতে পারবে। এ অবস্থায় সিন্ডিকেটের লাগাম না টানার ফলে চলতি রমজানে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

নেতৃদ্বয় বলেন, শ্রমজীবী-মেহনতী মানুষের জীবন ধারণের ন্যূনতম যোগান দিতে সারা বছরের জন্য পূর্ণ রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। তা না হলে বছরের একেক সময় একেক পণ্যের দাম বাড়িয়ে সিন্ডিকেট মানুষকে জিম্মি করবে। পূর্ণাঙ্গ রেশনিং ব্যবস্থাই পারে এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে।

তারা বলেন, অনুগ্রহ করে যেকোনো একটা শ্রমিকের বাড়িতে যান। তার দুপুরের খাবারটা দেখেন, কতটুকু খাবার আছে। আজ শ্রমিকের যদি অন্ন (খাবার) না জোটে, কল-কারখানা টিকে থাকবে না, দেশ টিকে থাকবে না। আজকে যদি কৃষক তার উৎপাদন না করে, তবে এই দেশ মানচিত্রে সীমিত হয়ে যাবে।