রাজশাহী প্রতিনিধিঃ ১৬ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। টান টান উত্তেজনা আর কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্য দিয়ে গঠিত হবে আগামীর নির্বাচিত কমিটি। এদিকে কমিটির জন্য নির্ধারিত হয়েছে মোট ১৩ টি পদ। ১৩ টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ১৮ জন সদস্য। যার মধ্যে সর্বোচ্চ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে সভাপতি পদে। এখন প্রশ্ন,কে হবেন সভাপতি – সম্পাদক।
অনেক চড়াই উতরাই পার করে মাত্র ২ বছরের ব্যবধানে ব্যাপক আলোচনায় এসেছে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব। এই অল্প সময়েই কার্যক্রমের সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে গত ২ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠা কমিটি বিলুপ্ত করে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয় ক্লাবটির দ্বায়িত্বরত সাংবাদিকরা এবং সেই দিনই রাজশাহীর সিনিয়র সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে ১১ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন হয়। এসময় সকলের সিদ্ধান্তে নির্বাচন কমিশনারের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয় প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশাকে। সহকারী নির্বাচন কমিশনার করা হয় এটিএন বাংলা’র সিনিয়র সাংবাদিক সুজা উদ্দিন ছোটন ও এডভোকেট জ্যোতিউল ইসলাম সাফী। ১১ সদস্যের মধ্য থেকে সচিব করা হয় রাজশাহী অনলাইন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও সময়ের কথা ২৪. কম এর যুগ্ম বার্তা সম্পাদক মীর তোফায়েল হোসেনকে। এরপর থেকে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবে ফিরে এসেছে উৎসবের আমেজ। প্রতিদিন ভোট চাইতে ক্লাবে হাজির হচ্ছেন সকল প্রার্থী। সকল সদস্য হিসেব করছেন ভোটের যোগ বিয়োগ। কে কত ভোট পাবেন, আর কে কোন পদে নির্বাচিত হবেন, তা নিয়ে চলছে জোর গুঞ্জণ।
সাধারণ সম্পাদকসহ ৫ পদে ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অঘোষিতভাবে জয়লাভ করেছেন। তবে বাঁকী পদ গুলোতে হবে কঠিন লড়ায়। খুব বেশি পার্থক্যের ব্যবধানে জয় পরাজয় হবেনা বলে ধারনা করছেন ক্লাবের সদস্যরা। বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের সদস্যদের এমন দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছে, নতুন দিগন্ত ফিরছে প্রতিটি সদস্যদের মনে। তৈরি হচ্ছে নতুন আঙ্গিকে সাংবাদিকতা করার আগ্রহ।
আগামী নির্বাচন নিয়ে ব্যতিক্রম ব্যাখ্যা দিচ্ছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মীর তোফায়েল হোসেন। তিনি বলছেন, রাজশাহীর মিডিয়া পাড়ায় খুব অল্প সময়ে আলোচনার শীর্ষে দাঁড়িয়েছে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব। আগামী কালকের নির্বাচনের সকল প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হয়েছে। নির্বাচনের দ্বায়িত্বে থাকা সকলকে তাঁদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ সম্পর্কে অবগত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই ক্লাবের সাংবাদিকদের হাতে দেশের প্রথম সারির পত্রিকা বা চ্যানেল না থাকলেও তাদের নিষ্ঠা ও একতাই বড় শক্তি। তাঁদের সকল সদস্য সরকার নিবন্ধন পত্রিকায় কাজ করেন। সরকার নিবন্ধনকৃত পত্রিকা ছাড়া এই ক্লাবে কেউ সদস্য পদ পায় না। আমি দেখেছি এই প্রেসক্লাবটি এখন অনেকের মাথা ব্যথার কারন।
বিগত ২ টি বছর তারা খুব সুন্দরভাবে ক্লাবটিকে পরিচালনা করেছে। যা আমার ভাল লেগেছে। তবে আমার জীবনে রাজশাহীতে অনেক সাংবাদিক সংগঠন ও প্রেসক্লাব তৈরি হতে দেখেছি। পরবর্তীতে সেই সব সংগঠনগুলোর নাম থাকে কিন্তু কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। আশাকরি রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের কার্যক্রম এমনটা হবে না। তারা আরও সুন্দর সুশৃঙ্খলভাবে সাংবাদিকতা করবে এমনটায় প্রত্যাশা করছি।
জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, আগামীকালের নির্বাচনের সকল প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হয়েছে। এখন শুধু অপেক্ষার পালা। আমরা সুষ্ঠু সুন্দর একটি অবাদ নির্বাচন উপহার দিতে পারবো বলে শতভাগ আশাবাদী।