Thu. Oct 16th, 2025
Advertisements

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের কুমড়াদী গ্রামের মৃত আবদুর রশিদ মিয়ার ছেলে ও পুটিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাকিল মিয়া তার নিজ গ্রামে গড়ে তুলেছে ত্রাসের রাজত্ব। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এলাকার চিহ্নিত বখাটেদের নিয়ে সে তৈরি করে কিশোর গ্যাং,যা একসময় ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। ছাত্রলীগের দাপট খাটিয়ে সে জমি দখল, মাদক, চুরি,ছিনতাই ও ডাকাতির মত জঘন্য অপরাধ ঘটিয়ে আসছিল দীর্ঘদিন যাবৎ।নামে মাত্র একটি টং দোকান চালিয়ে সে অবৈধভাবে কামিয়েছে লাখ লাখ টাকা।তৈরি করেছে রাজকীয় বাড়ি।বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে প্রতিহত করতে সে শিবপুরের বিভিন্ন জায়গায় দলীয় নির্দেশে আন্দোলনকারী ছাত্রদের উপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে। তার বিরুদ্ধে শিবপুর সি আর মামলা নং ৯৭৬/২০২৪ ইং দায়ের করা হয়েছে যেখানে তাকে ৩৩ নং আসামি করা হয়।তাছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই শাকিলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।বর্তমানে দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলেও চলমান রয়েছে শাকিলের অপকর্ম।শাকিল পলাতক থাকলেও তার ত্রাসের রাজত্ব ধ্বংস হয়নি।তার গড়ে তোলা বাহিনী দিয়ে এখনো চালিয়ে যাচ্ছে নানা ধরনের অপকর্ম। শাকিলের এসব অপকর্ম ও অপরাধ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানায়,এখন তো দেশে আওয়ামীলীগ নেই, তাহলে কিভাবে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা শাকিল এলাকায় বিভিন্ন অপরাধ ঘটিয়ে যাচ্ছে?তার খুঁটির জোর কোথায়? জানা যায়,শাকিলের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস পায়না।তার নির্দেশে কুমড়াদী গ্রামের আওয়াল মাস্টারের ছেলে শাওন,একই গ্রামের আব্দুল হাশিম মিয়ার ছেলে ওবায়দুর রহমান, রহিম মিয়ার ছেলে আরিফ মিয়া, ইটাখোলা গ্রামের হুমায়ুন মেম্বারের ছেলে সোহেল এলাকায় অপরাধ ও অসামাজিক কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে থাকে এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে রাখে