সোমবার, ৩১ আগস্ট ২০১৫
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিজের স্বার্থে ছাত্রদের ব্যবহার করে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকার কোন নৈতিক ভিত্তি নেই।
সোমবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইন্সস্টিটিশনে একটি আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সুরঞ্জিত বলেন, উপাচার্যের সঙ্গে শিক্ষকদের একটি দ্বন্দ্ব ছিলো। এব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকেও তদন্ত করে একবার ফয়সালা করা হয়েছিলো।। এখন সেটি ভেস্তে গেছে। তাই শিক্ষামন্ত্রীর উচিত সিলেট গিয়ে এ ঘটনার রেশ আর না বাড়ানোর আগেই সমস্যার সমাধান করার।
ছাত্রলীগের কা-ে বিব্রত হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছাত্রদেরও উচিত শিক্ষকদের সমস্যায় তাদের নাক না গলানোয়। যখন বিষয়টির সাথে ছাত্রলীগ জড়িয়ে গেছে। তাই এ ঘটনায় আমরাও বিব্রত।
আ.লীগের এ নেতা বলেন, শুনলাম তারা শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করেছে। গায়েও হাত দিয়েছে। এটা আমাদের বাঙালি সমাজের জন্য অপমানজনক। এজন্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিকে আমি বলবো সিলেট গিয়ে বিষয়টি সমাধান করার।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ড. কামাল হোসেন হতাশা থেকে জাতীয় সনদ দিয়েছেন। তার সঙ্গে কেউ নেই। হঠাৎ করে কামাল সাহেবের ১১ দফা আবার খালেদার জাতিসংঘের অধিনে গুমের তদন্ত দাবি। এই গুলা ষড়যন্ত্রের অংশ। এরা ষড়যন্ত্র ছাড়া কোথায় বের হয় না। তাই দেশবাসীকে তাদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। তাহলেই তাদের ষড়যন্ত্র সফল হবে না।
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমরা শুনলাম খালেদা জিয়ার মক্কা ও ভারত যাওয়ার কথা ছিলো। এখন উনি জাতিসংঘের কথা বলছেন। কালকে হয়তো শুনবো উনি নিউইয়র্ক যাওয়ার কথা বলছেন।
সংগঠনের উপদেষ্টা হাজী মো. সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী ও সংগঠনের নেতারা।