শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫
ঢাকা: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত হওয়ার মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ মান্নানকে উন্নত চিকিৎসা দেয়া না হলে তিনি মারা যেতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তার স্ত্রী সাজেদা মান্নান।
শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এম এ মান্নানের পরিবারের পক্ষ থেকে আয়োজিত অসুস্থ মান্নানের মুক্তির দাবি শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
লিখিত বক্তব্যে সাজেদা মান্নান বলেন, ‘এম এ মান্নান দীর্ঘ দিন ধরে হার্ট, কিডনি ও ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। তাকে গ্রেপ্তারের পর একের পর এক রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনে তিনি আরো অসুস্থ হয়ে পড়েন। বর্তমানে তিনি শয্যাশায়ী ও মৃত্যু পথযাত্রী। তাই বিদেশে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে উন্নত চিকিৎসা করানো জরুরি। উন্নত চিকিৎসা দেয়া না হলে তার মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে।’
তিনি বলেন, গাজীপুরবাসীর আশা এম এ মান্নান দ্রুত মুক্তি ও চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে আবার মেয়রের দায়িত্ব পালন করবেন। এক্ষেত্রে সরকার যাতে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে, সেটাই গাজীপুরের মানুষ প্রত্যাশা করে।
সাজেদা অভিযোগ করেন, এম এ মান্নানের পরিবারকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে সামাজিকভাবে ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার অপচেষ্টা করছে সরকার। এই কারণে এম এ মান্নান ও তার ছেলে এম মঞ্জুরুল করিমের নামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করেছে সরকার। তিনি অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীনরা অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কায়েমের জন্য ধারাবাহিকতায় মান্নানের নামে একের পর এক ১১টি ভিত্তিহীন মিথ্যা নাশকতার মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করেছে। আর তাকে যেদিন গ্রেপ্তার করা হয় তখন তিনি খুব অসুস্থ ছিলেন। তাই মানবিক বিবেচনায় তাকে মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান সাজেদা মান্নান।
তিনি বলেন, বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। অথচ সাজানো মিথ্যা বিচারধীন মামলা সমাপ্ত হওয়ার আগেই মেয়র পদ থেকে মান্নানকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। যা অত্যন্ত ঘৃণিত ও দুঃখজনক।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, নির্বাহী কমিটির সদস্য হুমায়ুন কবির খান, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল মোতালেব প্রমুখ।