Mon. Sep 15th, 2025
Advertisements

20 রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫
জাতীয় শোকদিবসের কর্মসূচি শেষ করে সংগঠন গোছাতে মাঠে নামছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এর অংশ হিসেবে যে সব জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে, সে সব জায়গায় সম্মেলন কার্যক্রম এ মাসেই শুরু হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের আগামী জাতীয় সম্মেলনের আগেই এ সব সম্মেলন শেষ করে নতুন কমিটি দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের তৃণমূল সম্মেলনের পাশাপাশি দলের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সম্মেলনও এ সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।

দলের বিভিন্ন পর্যায়ের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সংগঠন গোছানো ও সংগঠনকে শক্তিশালী করা হবে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতি আনতে দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ইতোমধ্যে দায়িত্ব নিয়েছেন। শোকের মাসের কর্মসূচি তিনি তত্ত্বাবধান করেছেন। ৪০ দিন ব্যাপী এ কর্মসূচি সফলভাবে পালিত হয়েছে। প্রতিদিনই একাধিক কর্মসূচি থাকছে। প্রায় প্রতিদিনই সৈয়দ আশরাফ শোকের কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।

সেই সঙ্গে সংগঠনোর গোছানোর কাজও তিনি তত্ত্বাবধান করবেন। আগামী ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে অনুযায়ীই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

ইতিহাসের ন্যাক্কারজনক অধ্যায় বঙ্গবন্ধু হত্যাণ্ডের শোকাবহ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে এ বছর ৪০ দিন ব্যাপী শোকের কর্মসূচি পালন করছে আওয়ামী লীগ। এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখা হয়। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর শোকের কর্মসূচি শেষ হচ্ছে।

এরপর আগামী ১১ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা আহ্বান করা হয়েছে। এ সভায় সাংগঠনিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং জেলা সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হতে পারে বলে দলের নেতারা জানিয়েছেন।

গত বছর থেকে আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ে সম্মেলনের কাজ শুরু হয়। তবে এই তৃণমূল সম্মেলন ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। অনেক আগে থেকেই এ পর্যায়ের সম্মেলন শুরু হয়েছে বলে আওয়ামী লীগ নেতারা জানান। এ সময়ে অধিকাংশ জায়গায় সম্মেলন শেষ হয়েছে। সারাদেশে সাত বিভাগের মধ্যে রাজশাহী বিভাগের তৃণমূল পর্যায়ের সব সম্মেলন ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। অন্য ছয়টি বিভাগে জেলা, উপজেলাসহ বিভিন্ন পর্যায়ে কিছু কিছু সম্মেলন বাকি আছে।

ছয় বিভাগের মোট ১৮টি জেলার সম্মেলন বাকি রয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, ভোলা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও চাঁদপুর জেলাও রয়েছে।