রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫
চাঞ্চল্যকর সাত খুন মামলায় প্রধান আসামি নূর হোসেনসহ পলাতক ১৩ জনের স্থাবর ও অস্থাবর সব সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এ ছাড়া ৭ অক্টেবরের মধ্যে সম্পত্তি ক্রোকের কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, মামলার চার্জশিটভুক্ত ২২ আসামিকে নির্ধারিত দিনে রবিবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এইচএম শফিকুল ইসলাম ৭ অক্টোবর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন। এ ছাড়া পলাতক ১৩ আসামির সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক এবং ৭ অক্টোবরের আগে কাজ শেষ করার জন্য ডিবিকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
সাখাওয়াত হোসেন জানান, তারেক সাঈদ ও এমএম রানার জন্য ঢাকা থেকে যারা এসেছে তারা আসামিদের ওকালতনামা না নিয়েই আদালতে দাঁড়িয়েছিল। পরবর্তী তারিখে তাদের প্রক্রিয়াগতভাবে আইনি লড়াই চালাতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
গত ৮ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী সংস্থা ডিবি আসামি নূর হোসেন ও র্যাব কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। এর মধ্যে ২২ জন গ্রেফতার রয়েছেন। বাকি ১৩ জন পলাতক।
সাত খুনের ঘটনায় প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ ৫ জনকে অপহরণ শেষে হত্যার ঘটনায় নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এ মামলায় নূর হোসেনসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অন্যদিকে এ্যাডভোকেট চন্দন সরকার ও গাড়িচালক ইব্রাহিমকে অপহরণ ও হত্যা মামলার বাদী ছিলেন চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল। এ মামলায় আসামিরা অজ্ঞাত। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে থেকে প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক ইব্রাহিম অপহৃত হন। ৩০ এপ্রিল বিকেলে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ৬ জন এবং ১ মে সকালে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।