রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫
পেনাল্টি থেকে সান ম্যারিনোর জালে বল জড়িয়েই দুহাত ওপরে তুলে আকাশের দিকে তাকালেন, স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে গোল উদযাপন করলেন ওয়েইন রুনি। সতীর্থরা এসে জড়িয়ে ধরে অভিনন্দন জানালেন তাকে। এরপরই গ্যালারিতে উপস্থিত স্ত্রী কোলেন রুনির উদ্দেশে ছুঁড়ে দিলেন এক চুম্বন। স্ত্রীর মুখেও তখন চওড়া হাসি। হবেই তো। তার প্রিয়তম ওয়েইন রুনি যে ছুঁয়ে ফেললেন অনন্য এক রেকর্ড।
ইংল্যান্ডের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা স্যার ববি চার্লটনের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেছেন রুনি। ইংল্যান্ডের ১৯৬৬ বিশ্বকাপজয়ী চার্লটনের ৪৫ বছরের অক্ষত রেকর্ড ভাঙতে রুনির প্রয়োজন আর মাত্র একটি গোল। ৪৯ গোল নিয়ে দুজনই এখন যৌথভাবে ইংল্যান্ডের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
শনিবার রাতে রুনির রেকর্ড ছোঁয়ার ম্যাচে তার দল ইংল্যান্ডও বড় জয় পেয়েছে। ২০১৬-ইউরো বাছাইপর্বে সান ম্যারিনোকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে রয় হজসনের দল। পাশাপাশি টানা সপ্তম জয়ে তিন ম্যাচ হাতে রেখেই আগামী বছর ফ্রান্সে অনুষ্ঠেয় ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত পর্বের টিকিট নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড।
গত সেপ্টেম্বরে নিজেদের মাঠে সান ম্যারিনোকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল ইংল্যান্ড। শনিবার সান ম্যারিনোকে তাদের মাঠেও কোনোরকম পাত্তাই দেয়নি হজসনের দল। ম্যাচের ১২ মিনিটেই পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে দেন রুনি, ছুঁয়ে ফেলেন চার্লটনের রেকর্ড।
৩০ মিনিটে সান ম্যারিনোর ক্রিস্টিয়ান ব্রোল্লির আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের। প্রথমার্ধে অবশ্য আর কোনো গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই অতিথিদের ৩-০ গোলে এগিয়ে দেন রস বার্কলি।
এরপর ম্যাচের ৬৮ থেকে ৭৮, ১০ মিনিটে গোল-উৎসব করেন থিও ওয়ালকট ও হ্যারি কেন। ৬৮ মিনিটে স্কোরলাইন ৪-০ করেন ওয়ালকট। এরপর ৭৭ মিনিটে হ্যারি কেনের গোল এবং পরের মিনিটে ওয়ালকটের দ্বিতীয় গোলে ৬-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত এই স্কোরলাইন ধরে রেখে বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে হজসনের দল।