খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫
যশোরের শার্শা উপজেলায় মোবাইল ফোন সেট চুরির অভিযোগে সাইফুল ইসলাম (২৫) নামের এক যুবককে জনসমক্ষে গাছের সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে যশোরের শার্শা উপজেলার যদুনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় মামলা হওয়ার পর দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত সাইফুল যদুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা কাওছার সরদারের ছেলে। তিনি পেশায় মুদি দোকানদার ছিলেন। ঘটনার পর দুপুরে সাইফুলের ভাই সোহরাব আলী বাদী হয়ে শার্শা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার এজাহারে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত পরিচয়ের চারজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার পর এজাহারভুক্ত দুই আসামি রাশিদা বেগম (৩৫) ও আইউব আলীকে (৩৪) পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। মামলার বাদী সোহরাব আলী বলেন, সকালে লাঠিসোঁটা, দা-হাতুড়ি নিয়ে স্থানীয় ৮-১০ ব্যক্তি থেকে সাইফুলকে বাড়ি থেকে ধরে দূরের খালপাড়ে নিয়ে যান। এরপর একটি দেবদারু গাছের সঙ্গে সাইফুলকে বেঁধে মারধর করা হয়। এ সময় আশপাশের লোকজন সাইফুলকে মারতে দেখলেও কেউ তাঁকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেনি। মারধরে সাইফুল অসুস্থ হয়ে পড়লে মারধরকারীরা তাঁকে ফেলে রেখে চলে যান। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সাইফুল মারা যান। এ ব্যাপারে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক বলেন, কয়েক দিন আগে রাশিদা বেগমের মুঠোফোন চুরি হয়। সেটি চুরির জন্য তিনি সাইফুলকে দায়ী করে আসছিলেন। সকালে ওই মুঠোফোনটি উদ্ধার করতে স্থানীয় কয়েক যুবককে তিনি সাইফুলের বাড়িতে পাঠান। ওই যুবকেরা সাইফুলকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আধা কিলোমিটার দূরের খালপাড়ে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে পেটান। ওসি আরও বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় করা মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।