খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫
নরসিংদীর দুই উপজেলায় রোববার রাতে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে ও এক স্কুলছাত্রীকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। নিহত গৃহবধুর নাম নাসরিন আক্তার (২৭)। রোববার রাতে পলাশ উপজেলার টেঙ্গরপাড়ায় নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। নাসরিন ওই গ্রামের আবদুল জলিলের মেয়ে। নাসরিন ৬ বছর বয়সী একটি মেয়ের জননী। পলাশ থানার ওসি (তদন্ত) বিপ্লব কুমার দত্ত জানান, রোববার রাতে খাওয়া শেষে নিজ ঘরে একা ঘুমাতে যান নাসরিন। সোমবার সকালে তার ভাই আল-আমিন ঘুম থেকে উঠে বোনের ঘরের দরজা খোলা দেখে ঘরে উঁকি দিয়ে নাসরিনের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় এখনো পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। এদিকে পৌর এলাকার ভেলানগরের নিজ বাড়িতে ভাড়াটিয়ার হাতে খুন হওয়া স্কুলছাত্রীর নাম রিয়া আক্তার (১৫)। রোববার রাতে নিহত এ স্কুলছাত্রী ভেলানগরের রিয়াজুল খন্দকারের মেয়ে ও শিবপুর উপজেলার কারারচর মৌলভী তোফাজ্জল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। নিহত স্কুলছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, রিয়াদের বাড়িতে ২ বছর ধরে ভাড়া থাকেন নরসিংদী ল’ কলেজের শিক্ষার্থী আলমগীর হোসেন। একাধিকবার তিনি রিয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু রিয়া প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়া হয়। তবে পড়াশোনা শেষে বিয়ের ব্যাপারে আপত্তি ছিলো না রিয়ার পরিবারের। এর মধ্যেই রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে আলমগীর জোরপূর্বক রিয়ার ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। চিৎকার শুনে আত্মীয়রা ঘরে ঢুকে রিয়াকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে। আলমগীর এ সময় পালিয়ে যায়। পরে জেলা হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা রিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। নরসিংদী সদর মডেল থানার ওসি কে এম আবুল কাশেম জানান, রিয়ার মরদেহের গলায় আঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে। তবে কীভাবে রিয়ার মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। অভিযুক্ত আলমগীরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।