খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫
আর মাত্র ১২ দিন। এরপর তাকে আমরা দেখব খুবই ঝকঝকে, আর দারুণ উজ্জ্বল-গত ৩০ বছরে তাকে আর কখনও এমন দেখা যায়নি। আর সেদিনই প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা পুরোপুরি ডুবে থাকবে অতল অন্ধকারে; পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ।
চাঁদ-সূর্যের ‘পূর্ণগ্রাস গ্রহণ’ তো হয়েই থাকে। কিন্তু নাসা বলছে, আর ১২ দিন পর ২৭ সেপ্টেম্বর পৃথিবী সাক্ষী হতে চলেছে বিরল ‘সুপারমুন-এর। সে দিন আমাদের থেকে মাত্র ৩১ হাজার মাইল দূরে থাকবে সুপারমুন; যা দেখার সুযোগ আমরা পাই খুবই কম।
এর আগে গত একশ বছরে আমরা এই সুযোগ পেয়েছি মাত্র পাঁচবার। ১৯১০, ১৯২৮, ১৯৪৬, ১৯৬৪ আর শেষ সুপারমুন দেখা গেছে ১৯৮২ সালে। এই সুযোগ আবারও পাব ১৮ বছর পর ২০৩৩ সালে।
নাসা জানিয়েছে, ইস্টার্ন ডে লাইট টাইম অনুযায়ী, রাত ৮টা ১১ মিনিটে চাঁদের ওপর পৃথিবীর ছায়া পড়তে শুরু করবে। ৯টা ৭ মিনিট থেকে দেখা যাবে চাঁদের ওপর পৃথিবীর ছায়া। আর পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে রাৎ ১০টা ১১ মিনিটে।
গ্রহণ শেষ হওয়ার পর ছায়ার ‘আড়াল’ থেকে বেরিয়ে আসা চাঁদের উজ্জ্বলতা হবে নজরকাড়া। উজ্জ্বলতা বাড়বে ৩০ শতাংশ; আর ১৪ শতাংশ বেশি বড় দেখাবে চাঁদকে।
কারণ পৃথিবীকে তার উপগ্রহটি চক্কর মারে একটা ডিমের মতো পথে। চারপাশে ঘুরতে-ঘুরতে কখনও চাঁদ আসে আমাদের কাছে; আবার কখনও দূরে চলে যায়। তাই পৃথিবী থেকে যখন সবচেয়ে দূরে থাকে চাঁদ সেই সময়কে বলা হয় ‘অ্যাপোজি’ (apogee)। আর সবচেয়ে কাছে থাকার সময়কে বলা হয় ‘পেরিজি’ (perigee); ২৩ সেপ্টেম্বর আসবে আমাদের সবচেয়ে কাছে।
তবে একটাই আক্ষেপ, বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে না এই বিরল ঘটনা! ঐশ্বরিক এ ক্ষণ দেখা যাবে, শুধু উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা এবং পশ্চিম এশিয়ার কয়েকটি জায়গায়।