Wed. Sep 17th, 2025
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫
61অভিনয়, চলচ্চিত্র পরিচালনা, আদর্শ মা কোন ভূমিকায় নেই তিনি। এত্তসব কাজের ফাঁকে আবার চালিয়ে যাচ্ছেন মানবতার সেবা। শিশু অধিকার ও নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরিতে চষে বেড়াচ্ছেন বিশ্বের নানাপ্রান্ত। কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ মনোনীত হয়েছেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত হিসেবে, হয়েছেন ইউএনএইচসিআরের শুভেচ্ছাদূত। শত ব্যস্ততার মধ্যেও যৌন সহিংসতার মতো গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক অভিশাপ বন্ধে ভূমিকার জন্য আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস থেকে পেয়েছেন গভর্নস অ্যাওয়ার্ড। হ্যাঁ, বলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলির কথাই বলা হচ্ছে। এতসব কাজ স্বীকৃতিতে অবশ্য আরেকজনের কথা এসে যায় অবধারিতভাবেই। তিনি আর কেই নন জোলির জীবনসঙ্গী ব্র্যাড পিট। স্ত্রীর কাজে বরাবরই সমর্থন জুগিয়েছেন এ হলিউড তারকা। ২০০৬ সালে এ তারকা দম্পতি প্রতিষ্ঠিত ‘জোলি-পিট ফাউন্ডেশন’ এবং ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর রিফিউজি অ্যান্ড ইমিগ্রান্ট চিলড্রেন’ কাজ করছে আইনি অধিকার বঞ্চিত শিশুদের জন্য। শুধু সংস্থা সংগঠন করেই ক্ষান্ত হননি এ তারকা দম্পতি; সন্তান মানুষ করার গুরু দায়িত্ব নিজেদের কাঁধেও নিয়েছেন স্বেচ্ছায়। নিজেদের তিনটি আর দত্তক নেওয়া তিনটি মিলে ছয়টি সন্তান ঘর আলো করে আছে ব্র্যাঞ্জেলিনা জুটির। এরার আরেকটি সিরীয় শিশু দত্তক নিলেন তারা। জাতিসংঘের দূত হিসেবে তুরস্কের শরণার্থী শিবিরে গিয়ে মউসা নামের এক শিশুকে দেখেন জোলি। দুবছরের মউসার জীবনের করুণ কাহিনী শুনে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি এ হলিউড তারকা। সিরিয়ার এতিম শিশুটিকে প্রয়োজনীয় নিয়ম মেনে দত্তক নিয়ে নেন। গত বছর জর্ডান সফরে গিয়েই সিরীয় একটি শিশুকে দত্তক নেওয়ার প্রতিশ্র“তি দিয়েছিলেন জোলি; এবার সেটি পূর্ণ করলেন। মউসা ছাড়া ব্র্যাঞ্জেলিনা দম্পতির ঘরের বাকী ছয় সন্তান হলো- ম্যাডডক্স (১৩), প্যাক্স (১১), জাহারা (৯), শিলোহ (৮), ভিভিআইন ও নোক্স।