খোলা বাজার২৪ ॥ শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫
সৌদি আরবের মিনায় ‘শয়তান স্তম্ভে’ পাথর ছোড়ার সময় প“লিত হয়ে নিহত হাজির সংখ্যা ৭১৯ জনে পৌছেছে। আহত হয়েছেন ৮৬৩ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
এমন জরুরি পরিস্থিতিতে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়েফ এ দুর্ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিনার বড় জামারাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে সৌদি সিভিল ডিফেন্সের বরাত দিয়ে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
সৌদি সিভিল ডিফেন্সের বিবৃতিতে জানানো হয়, হাজিদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে তাদের কর্মীবাহিনী। আহতদের উদ্ধার করে চারটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকাজে চার হাজারের মতো কর্মী ও ২২০টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে।
এদিকে, প“লিতের ঘটনায় ৫ জন বাংলাদেশি নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন নিহতদের স্বজনরা।
তবে নিহতদের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে যোগাযোগ করা হলে বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টার দিকে জেদ্দা কনস্যুলেটের কনস্যুলার (হজ) আসাদুজ্জামান বলেন, সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে না বললে নিহতদের ব্যাপারে কিছুই বলতে পারব না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন হাসপাতালে আমাদের লোক পাঠিয়েছি এবং সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা নিহতদের জাতীয়তাসহ পরিচয় প্রকাশ করার পর আমরা নিশ্চিত হয়ে বলতে পারবো।
চলতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশ লাখেরও বেশি মানুষ পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরব গেছেন। গত মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হয় হজের আনুষ্ঠানিকতা। সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যার পর মিনার উদ্দেশে রওনা দেন মুসল্লিরা।
এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে মক্কায় পবিত্র মসজিদ আল হারামের (গ্র্যান্ড মসজিদ) বর্ধিতাংশের নির্মাণ কাজের সময় ছাদ থেকে ক্রেন ধসে ১০৭ জন হাজির মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হন আরও অন্তত আড়াইশ’ জন।
এছাড়া ২০০৬ সালেও মিনায় শয়তানের স্তম্ভে পাথর ছোড়ার সময় প“লিত হয়ে ৩৬৪ জন হাজির মৃত্যু হয়।