খোলা বাজার২৪ ॥ শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পৌঁছেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে হোটেল ওয়াল্ডরফ অ্যাস্টোরিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আশা প্রকাশ করে বলেছেন, শিগগিরই বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সই হবে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে গতকাল স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দুই দেশের সরকারপ্রধানদের অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এ কথা জানানো হয়।
হোটেল ওয়াল্ডর্ফ এস্টোরিয়া হোটেলে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীই এ মুহূর্তে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন।
ইহসানুল করিমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে ঝুলে থাকা চুক্তি সইয়ের ব্যাপারে নরেন্দ্র মোদি কোনো সময়সীমা বেঁধে দেননি।
প্রেস সচিব বলেন, আধা ঘণ্টার বৈঠকে স্থলসীমান্ত চুক্তির বর্তমান অবস্থাসহ দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ, আঞ্চলিক বিভিন্ন ইস্যু এবং তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে দুই নেতা আলোচনা করেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের দুটি প্রকল্পের ব্যাপা খোঁজ নেন। এগুলোর একটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও অন্যটি বঙ্গবন্ধু উপগ্রহ প্রকল্প। রূপপুর প্রকল্পে রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করার জন্য তিনি বাংলাদেশের সামর্থ্যের প্রশংসা করেন এবং কারিগরি ও বাণিজ্যিক দিকগুলোয় প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দেন। নরেন্দ্র মোদি উপগ্রহ উৎক্ষেপন নিয়ে তাঁর দেশের দক্ষতার বিষয়টিও উল্লেখ করেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহায়তার প্রস্তাব দেন তিনি।
স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের আমলাদের প্রশংসা করেন মোদি। বিরোধপূর্ণ বিষয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমঝোতার একটি মডেল হিসেবে স্থল সীমান্ত চুক্তির কথা বলেন তিনি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিবেশীদের মধ্যে বিরোধ থাকতে পারে। তবে আলোচনার মাধ্যম সব বিরোধের সমঝোতা হতে পারে। তিনি বলেন, এই অঞ্চলের চার দেশের (বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল) মধ্যে সড়ক যোগাযোগ জনগণের জন্য সুবিধা বয়ে আনবে।
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এমডিজি) বাংলাদেশের সফলজনক অগ্রগতির ব্যাপারে মোদিকে অবহিত করেন শেখ হাসিনা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, উপদেষ্টা মসিউর রহমান ও পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।