Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫
84গবেষকরা ক্যান্সার কোষকে স্বাভাবিক কোষে রূপান্তরের পদ্ধতি বের করতে পেরেছেন। এতে, ভবিষ্যতে ক্যান্সার চিকিৎসায় বিপ্লব দেখা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শরীরের স্বাভাবিক কোষের মতোই ক্যান্সার কোষ। কিন্তু ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি বা বিভাজন ঘটে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে। এ কথা আমরা সবাই জানি, অন্যান্য প্রাণীর মতোই মানুষের দেহও অসংখ্য ছোট ছোট কোষ দিয়ে তৈরি। এ সব কোষ নির্দিষ্ট সময় পরপর মারা যায় এবং পুরনো কোষের জায়গায় স্থান করে নেয় নতুন কোষ। কোষগুলো নিয়ন্ত্রিতভাবে এবং নিয়মমতো বিভাজিত হয়ে নতুন কোষের জš§ দেয়।
ক্যান্সার বা কর্কটরোগের ক্ষেত্রে দেহ কোষের বিভাজন চলে অনিয়ন্ত্রিতভাবে। ফলে ত্বকের নিচে মাংসের দলা অথবা চাকা দেখা যায়। একেই টিউমার বলে।
মার্কিন খ্যাতনামা মেয়ো ক্লিনিকের গবেষকরা ক্যান্সার কোষকে স্বাভাবিক কোষে রূপান্তর করতে পেরেছেন। গবেষণাগারে এ জন্য স্তন এবং মুত্রথলির ক্যান্সার কোষ ব্যবহার করেছেন মেয়ো ক্লিনিকের গবেষক দলটি। এ রূপান্তর ঘটানোর জন্য কোষকলা পর্যায়ে তুলামূলকভাবে সহজ হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে গবেষক দলকে। আর এর মধ্য দিয়ে ক্যান্সার কোষ আবার স্বাভাবিক কোষের মতই আচরণ করতে শুরু করেছে বলে তারা দেখতে পেয়েছেন। অর্থাৎ ক্যান্সার কোষ বদলে হয়ে গেছে শরীরের স্বাভাবিক কোষ!
গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন, মাইক্রো আরএনএএস দেহ কোষের বিভাজন বা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। কোষকে পিএলএকেএইেএ৭ নামের আমিষ উৎপাদনের নির্দেশ দেয় এটি। সঠিক মাত্রায় আমিষটি উৎপাদিত হলেই বন্ধ হয়ে যায় কোষ বিভাজন।
ক্যান্সার কোষে সঠিক মাত্রায় থাকে না এ আমিষ। গবেষকরা ক্যান্সার কোষে মাইক্রো আরএনএএস ঢুকিয়ে দেন। তারপর দেখতে পান সঠিক মাত্রায় এ আমিষ উৎপাদিত হচ্ছে ক্যান্সার কোষে। একই সঙ্গে ক্যান্সার কোষের অস্বাভাবিক বিভাজনও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ন্যাচার সেল বায়োলজিতে এ গবেষণার বিষয়ব¯‘ প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণাগারে মানুষের কোষে এ গবেষণা চালানো হয়েছে। ক্যান্সার চিকিৎসায় এ পদ্ধতি প্রয়োগের আগে আরো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। কিন্তু তারপরও গবেষকরা মনে করছেন, এর আগে কখনোই ক্যান্সার সারিয়ে তোলার ক্ষেত্রে এতো ব্যাপক আশাবাদ দেখা দেয়নি। তেহরান রেডিও