খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৫ : ২০১৬ উইরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ তথা ইউরোর দলসংখ্যা ১৬ থেকে ২৪ এ উন্নীত হয়েছে। কিন্তু এই ২৪ দলের মধ্যেও নেই ১৯৮৮ ইউরোর চ্যাম্পিয়ন নেদারল্যান্ডস। তারা বিদায় নিয়েছে ইউরোর বাছাইপর্ব থেকে। তবে সুযোগ ছিল তাদের সামনে। কিন্তু চেক রিপাবলিকের কাছে ৩-২ গোলে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে তিন-তিনবার বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলা নেদারল্যান্ডসকে।
মঙ্গলবার রাতে চেক রিপাবলিকের বিপক্ষে ম্যাচের ৩৫ মিনিটেই ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে ডাচরা। এ সময় অভিজ্ঞ খেলোয়াড় বরিন ফন পার্সি আত্মঘাতি গোল করেন। অবশ্য পরে একটি গোল করেনও তিনি। কিন্তু দলকে হারের হাত থেকে রক্ষা করতে পারেননি।
ম্যাচ শেষে নেদারল্যান্ডসের কোচ ড্যানি ব্লাইন্ড বলেন, ‘পুরো বাছাইপর্বে আমরা ভালো খেলতে পারিনি।’ ওয়েসলি ¯েœইডার বিষয়টিকে সমষ্টিগত ব্যর্থতা বলে উল্লেখ করেছেন।
নেদারল্যান্ডস এমনই একটি দেশ যেখান থেকে কিশোররা বড় বড় আসরে তারকা বনে যান। এমনটি ঘটে আসছে ১৯৭০ সাল থেকে। এদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন ক্রুইফ, মার্কো ফন বাস্তেন, ডেনিস বার্গক্যাম্প ও ফন পার্সি। এদের পর হালটি এখনো কেউ ধরতে পারেননি।
অবশ্য গেল বিশ্বকাপেও তারা দারুণ খেলেছে। ২০১০ বিশ্বকাপে যে স্পেনের কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া হয়েছিল সেই স্পেনকে ৫-১ গোলে গুড়িয়ে দিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে নেদারল্যান্ডস। আর সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে টাইব্রেকারে হার মানে। তারা কিনা এবার ইউরোর বাছাইপর্বই টপকাতে পারল না।
২০০২ সালে তারা বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার টিকিট পেতে ব্যর্থ হয়। ১৩ বছর পর এবার তারা বড় টুর্নামেন্ট ইউরোর মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। এর আগে ১৯৮৪ সালে তারা ইউরোর বাছাইপর্ব টপকাতে পারেনি।
কিন্তু নেদারল্যান্ডসের চেয়ে ঢের দুর্বল দল আলবেনিয়া, ওয়েলস ও নর্দান আয়ারল্যান্ড ২০১৬ ইউরোর মূলপর্বের টিকিট পেয়েছে। তাদেরকে টিভিতে খেলতে দেখবে ডাচ ফুটবলাররা।