খোলা বাজার২৪, সোমবার , ১৯ অক্টোবর ২০১৫ : বছর ঘুরে আবার এসেছে শারদীয় দুর্গোৎসব। আর দশজনের মতো তারকারাও যাবেন পূজা মণ্ডপে। মেতে উঠবেন দুর্গা বন্দনায়। তাদের পূজার স্মৃতি, উৎসবের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন। পূজায়ও ফুরসত নেই অপু বিশ্বাসের ঢাকাই সিনেমার প্রথম সারির নায়িকা অপু বিশ্বাস সারা বছরই ব্যস্ত থাকেন শুটিংয়ে। পূজার মৌসুমে সুযোগ পেলে ছুটে যান বগুড়ায়। এবার দার্জিলিংয়ে ভাই, মামা ও মাসির বাড়িতে পূজা উদযাপনের কথা ছিল। কিন্তু তার বদলে তিনি মেতে থাকবেন লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন নিয়ে। উত্তম আকাশের ‘রাজা ৪২০’ এবং বুলবুল বিশ্বাসের ‘রাজনীতি’ ছবির শুটিংয়েই এবার কাটবে অপুর পূজা। তাই মনটা একটু খারাপই তার। পা ছুঁয়ে শ্রদ্ধা জানানোর লোক নেই: পীযূষ বন্দোপাধ্যায় পূজায় নিজের জন্য কিছুই করেন না পীযূষ বন্দোপাধ্যায়। উপহার থেকে আতিথেয়তা সব দায়িত্বই বর্তায় স্ত্রী অভিনেত্রী জয়শ্রী কর জয়ার কাঁধে। এজন্য বেশ নিশ্চিন্তেই সময় কাটান তিনি। পীযূস জানালেন, বয়স বেড়েছে এখন তাই আগের মতো জমকালো করে পূজা উদযাপন করা হয় না। আগে কে কত প্রতিমা দর্শন করতে পারে, তার প্রতিযোগিতাই চলত বন্ধু মহলে। গভীর রাতে প্রতিমা দর্শনে ফিরতেন ভোরে। তবে বয়স বাড়লেও মণ্ডপে যাওয়া বন্ধ হয়নি। এবারও যাবেন ঢাকার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে। রাতভর ভিন্ন ভিন্ন মণ্ডপে পূজা দেখা চলবে। তবে আগের পূজার আমেজটা খুঁজে পাননা। বললেন, গুরুজনদের পা ছুঁয়ে শ্রদ্ধা জানানোর লোকই যে কমে গেছে। পূজা শুধু হিন্দু নয়, সবার উৎসব : জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়ের কাছে উৎসব মানেই আনন্দ। সেটা ঈদ, পূজা, নববর্ষ যাই হোক না কেন। আনন্দ উদযাপনে তার ছিটে ফোঁটাও কার্পণ্য নেই। তাইতো প্রতিটি উৎসবেই তিনি প্রিয়জনদের উপহার সামগ্রী কিনে দেন। তার কাছে পূজা ব্যাপারটা সার্বজনীন। ঈদ, বড়দিনের সঙ্গে পূজার পার্থক্য নেই তার কাছে। এবারের পূজায় ঢাকাতেই থাকবেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। উদযাপন করবেন সবার সঙ্গে মণ্ডপে যাওয়ার পাশাপাশি পরিচিত, পরিজনদের সময় দেবেন। খাওয়া-দাওয়া, আনন্দ-উল্লাসে মেতে থাকবেন। উপহার পেতে ভালো লাগে : দেবাশীষ বিশ্বাস বরাবরই পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় পূজা উদযাপন করেন দেবাশীষ বিশ্বাস, করবেন এবারও। তবে সপ্তমীর দিন গুলশান-বনানী, অষ্টমীর দিন নারায়ণগঞ্জ এবং নবমীর দিন পুরানো ঢাকার সব পূজা মন্ডপে যাবেন পূজা দেখতে। ইতোমধ্যে পূজার কেনাকাটা সব শেষ করে ফেলেছেন। পরিবারের সবাইকে দিয়েছেন পছন্দ মতো পোশাক। তবে তার উপহার দেয়ার চেয়ে পেতেই নাকি বেশি ভালো লাগে। অন্যবারের মতো এবারও নিজ ধর্মের পাশাপাশি ভিন্ন ধর্মাবলম্বী বন্ধুদের সঙ্গে সময় পার করবেন দেবাশীষ। প্রণামী দেবেন ছোটদের, আবার নেবেন বড়দের কাছ থেকে। দশমীতে মায়ের হাতের নানা পদের রান্না তো রয়েছেই। বন্ধুদের সঙ্গে পূজা দেখতে যাব : জ্যোতিকা জ্যোতি পূজার প্রথম দিন অবধি কক্সবাজারে শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকবেন জ্যোতিকা জ্যোতি। তবে প্যাকআপ হলেই কক্সবাজার থেকে সোজা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের পথে। প্রিয়জনদের সঙ্গে কাটাবেন পূজা, দেখবেন ময়মনসিংহসহ টাঙ্গাইলের আশপাশের সব মণ্ডপের পূজা। খাওয়া-দাওয়া, প্রণামী দেওয়া-নেওয়া পর্বও সারবেন। প্রতিমা বিসর্জন শেষে ফিরবেন ঢাকাতে। পরিবারের জন্যই পুরোটা সময় : অরুণা বিশ্বাস সারাবছর নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন অরুণা বিশ্বাস। তাই এবার আগে থেকেই ঢাকা ও মির্জাপুরে পূজা উদযাপনের কথা ভেবে রেখেছেন। পূজা-অর্চনা আর আনন্দের মধ্যে পরিবারের সঙ্গে একটু একান্তে সময় কাটাতে চান তিনি। ইতিমধ্যে কেনাকাটাও সেরে ফেলেছেন প্রিয়জনের জন্য। যাত্রা-আরতি এখন আর আগের মতো নেই : কিরণ চন্দ্র রায় গানের মানুষ কিরণ চন্দ্র রায় পূজাতেও গান নিয়েই থাকবেন। ঘুরবেন ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে। শুধু পূজা বলে কেনাকাটা করেন না কিরণ চন্দ্র। উৎসব এলেই বাজারে ছোটেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। ইতোমধ্যে সেরে ফেলেছেন পূজার কেনাকাটা। তবে এখন নাকি আর পূজায় যাত্রা-আরতি আগের মতো নেই! পরিবর্তন এসেছে গ্রাম আর শহরের পূজায়। পৌরাণিক যাত্রাও চোখে পড়ে না। পূজায় শুধু প্রতিমাই দেখবেন না কিরণ, গানও গাইবেন। কলাবাগান, বনানী, কুমিল্লার তিন জায়গা আর মাছরাঙা টিভিতে লাইভ শো করার কথা আছে তার। শুটিং-এ ব্যস্ত মৌটুসী বিশ্বাস হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে মেহের আফরোজ শাওনের পরিচালনায় নির্মিত হচ্ছে ‘কৃষ্ণপক্ষ’ সিনেমাটি, যেখানে তিনি মিরু চরিত্রে অভিনয় করছেন। শুটিং-এর ব্যস্ততায় ভুলেই গেছেন পূজার কথা। তবে এর ফাঁকেই পরিবারের জন্য কেনাকাটা সারবেন বলে জানালেন। ১৩ নভেম্বর ছবিটি মুক্তির কথা থাকায় এর মধ্যেই সব কাজ শেষ করতে হবে। তাই পূজা নিয়ে কোনো পরিকল্পনাই করতে পারেননি এ অভিনেত্রী।