খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ২১ অক্টোবর ২০১৫ : ফিলিপাইনে টাইফুন কোপ্পুর প্রভাবে সৃষ্ট বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৭ জনে দাঁড়িয়েছে। ঝড়ের তীব্রতা কমে এলেও বন্যার কারণে এখনও ১০ হাজারের মতো মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে। খবর এনডিটিভির। খবরে বলা হয়, কোপ্পুর আঘাতের ৩ দিন পর আবহাওয়ার অবস্থা কিছুটা উন্নত হলেও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে অনেক এলাকা এখনও পানিতে তলিয়ে আছে। এছাড়া উত্তরাঞ্চলীয় ম্যানিলা শহরের বেশ কিছু কৃষিপ্রধান গ্রামে বন্যার কারণে প্রচুর ফসল নষ্ট হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা এসব ক্ষতি চিহ্নিত করছেন বলে জানা গেছে। অনেক এলাকার বন্যার পানি কমে যাচ্ছে। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় পাহাড়ি এলাকায় ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যার কারণে মূলত কৃষি ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তবে সেখানেও বন্যার পানি শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তারা। দেশটির প্রধান কৃষি এলাকা লিউজনে বন্যার কারণে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই এলাকার অনেক বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রায় ৩০০ গ্রামবাসী বন্যার পানিতে আটকে আছে। অনেক এলাকায় বন্যার পানি কমলেও দেশটিতে প্রায় ১ লক্ষ ৭ হাজার মানুষ নিজেদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। দুর্যোগের সময় অধিকাংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে পানিতে ডুবে, ভূমিধসের কারণে মাটি চাপা পড়ে, গাছের নিচে আটকা পড়ে এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। এছাড়া সাপের কামড়ে মারা গেছে আরও ১ জন। পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের কারণে বাড়ি-ঘর, রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র আইভি সারাসই। তাছাড়া অন্যান্য স্থানে মারা গেছে আরও ১৪ জন। প্রসঙ্গত, ফিলিপাইনে প্রতিবছর অন্তত ২০টির মতো টাইফুন আঘাত হানে। তবে ২০১৩ সালে দেশটিতে আঘাত হানা সুপার টাইফুন হাইয়ান’র আঘাতে সবচেয়ে বেশি লোক হতাহত হয়েছিল। হাইয়ান’র আঘাতে দেশটিতে ৭ হাজার ৩৫০ জন প্রাণ হারিয়েছিল।