খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৫: দলভিত্তিক স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংশোধিত আইনের জন্য অপেক্ষায় থাকার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকারের আইন সংশোধন মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের দুই সপ্তাহ পার হলেও অধ্যাদেশ না হওয়ার প্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “আমরা ওয়েট করছি। আইনের আলোকে কাজ করতে হবে। খুব কম সময় পাব। আইনের কপি হাতে না পেলে এগোনো সম্ভব হবে না।”
মঙ্গলবার শেরবাংলানগরে এনইসি মিলনায়তনে ঢাকা উত্তর সিটির জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন সিইসি।
আগামী নভেম্বরে পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটির।
দলভিত্তিক নির্বাচন অনুষ্ঠানে সাংবিধানিক সংস্থাটির নির্বাচন পরিচালনা বিধি ও আচরণ বিধিমালা প্রস্তুতের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি।
কাজী রকিব বলেন, “মন্ত্রিসভায় আইন সংশোধন অনুমোদন হয়েছে। অধ্যাদেশের জন্য আমরা অপেক্ষায় রয়েছি। পৌর নির্বাচনের জন্য সামনে কম সময় হাতে থাকায় বিধিমালা প্রস্তুতের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কাজ এগিয়ে রাখছি।”
৮ নভেম্বর থেকে সংসদে অধিবেশন শুরু হওয়ায় প্রস্তাবিত সংশোধনী বিল আকারে উপস্থাপনেরও সুযোগ রয়েছে।
সিইসি বলেন, “এরই মধ্যে অধ্যাদেশও হতে পারে। তা না হলে সংসদে তুলতে হবে। তার জন্য কিছুটা সময় দরকার, আমরা কিছু কাজ এগিয়ে রাখছি। আইনটি হাতে পেলে আমরা স্বল্প সময়ে বিধিমালা জারির ব্যবস্থা নেব।”
‘স্বতন্ত্র হওয়ার পরামর্শ’
স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী নতুন দলের প্রার্থীদের স্বতন্ত্র হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কাজী রকিব।
তিনি জানান, জাতীয় নির্বাচনের আগে নতুন দলের জন্য নিবন্ধন আবেদন করার সুযোগ দিলেও সময় স্বল্পতার কারণে স্থানীয় নির্বাচনে তা করার সুযোগ নেই।
“নতুন দলকে নিবন্ধন দিতে হলে সময় দরকার, আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের দরকার। এখন সে সময় নেই। স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার প্রভিশন রয়েছে। যারা ইচ্ছুক হবে তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারে।”
তবে স্বতন্ত্র প্রার্থিতায় কোনো শর্তারোপ করা হচ্ছে কিনা আইনের সংশোধন কপি হাতে না পাওয়ায় তা নিয়ে মন্তব্য করেননি সিইসি।
এদিকে হালনাগাদ ভোটার তালিকা থেকে মৃত ভোটার বাদ দেওয়ার বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করে সহযোগিতা চেয়েছে ইসি।
এ বিষয়ে সিইসি জানান, ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রামে মৃত ভোটার বাদ পর্যাপ্ত হয়নি। স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিরা এ কাজে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “মৃত ভোটার বাদ দিতে ঢাকা ও চট্টগ্রামে এক্সট্রা এফোর্ট দেওয়া হচ্ছে। জনপ্রতিনিধিরা সংশ্লিষ্ট কবরস্থান ও শ্মশান থেকে সদ্য মৃতদের তালিকা দিয়ে, মৃত্যু নিবন্ধন তথ্য দিয়ে এ কাজে সহায়তা দেবে।”
পর্যায়ক্রমে ঢাকা দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করা হবে বলে জানান কাজী রকিব।
জনপ্রিতিনিধিদরে সঙ্গে ইসির বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক, জাবেদ আলী, মো. শাহনেওয়াজ, ইসি সচিব সিরাজুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।