খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৫ : বিশ্বের সব বয়সের মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যান্সার বেড়েই চলেছে। কয়েক বছর পরে এই রোগ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে মহামারীর আকার নিতে চলেছে। তাই ভারতের মতো তৃতীয় বিশ্বের জনবহুল দেশে মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যানসার নিয়ে সচেতনতা বাড়াতেই এই ট্যুইটিং ব্রা নিয়ে আসা হচ্ছে। কারণ বেশিরভাগ মহিলাই নির্দিষ্ট সময় অন্তর নিজেদের স্তনের চেক আপ করান না। ফলে স্তনের মধ্যে রক্ত সংবহন, লাম্প, ব্যথা ইত্যাদি নিয়ে তাদের কোনও খেয়াল থাকে না। সমস্যা জটিল হলে তখন টনক নড়ে। কারণ কেউ তাদের চেক আপ করানোর ব্যাপারে স্মরণ করান না। নিজেদেরও মনে থাকে না।
আর এই সমস্যা দূর করতে এবার বাজারে আসছে অনেক উচ্চ প্রযুক্তির ট্যুইটিং ব্রা। পন্যটির নির্মাতা সংস্থা নেসলে ফিটনেস। যা খোলা মাত্রই ট্যুইট হয়ে যাবে।
ক্রেতাদের উদ্দেশ্যে এই নয়া বক্ষবন্ধনী সম্বন্ধে পরিচিতি করাচ্ছে নেসলের বিজ্ঞাপন নির্মাতা সংস্থা অগিলভি আথেন্স। গোলাপী রঙের এই অভিনব ব্রা’র এই অদ্ভুত নামকরণ কেন?
নির্মাতা সংস্থা জানাচ্ছে, যিনি এই বক্ষবন্ধনী ব্যবহার করবেন তিনি এটি খোলামাত্র অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ট্যুইট হয়ে যাবে। অর্থাৎ অন্তর্বাসটি খুললেই ট্যুইট হয়ে যাবে। সংস্থাটি জানিয়েছে, এই বিশেষ বক্ষ বন্ধনীর হুকের নিচে থাকবে খুবই ছোট্ট একটি অত্যাধুনিক স্যুইচ বা সেন্সর। কোনও মহিলা যতবার বক্ষ বন্ধনীটি খুলবেন ততবার হুকটি খোলা মাত্র একটি সঙ্কেত পৌঁছে যাবে ব্যবহারকারীর মোবাইল ফোনে।
মোবাইল থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সঙ্কেত চলে যাবে সার্ভারে। সার্ভার তখন ওই মহিলার হয়ে ট্যুইট করে দেবে। ট্যুইটে কোনও কথা বা বাক্য না থাকলেও থাকবে সবার বোঝার মতো বিশেষ সঙ্কেত। এজন্য বক্ষ বন্ধনীর হুকের নিচে সেন্সরটি সব সময় সক্রিয় থাকবে। মোবাইল সুইচ অন রাখতে হবে। একইসঙ্গে ট্যুইটারের অ্যাকাউন্টটিও অন রাখতে হবে। তবেই সব সময় সুষ্ঠুভাবে অটোমেটিক ট্যুইট হবে। অবশ্য ৩টি জিনিসকে অন রাখা অভ্যাসের ব্যাপার। এটা কঠিন কোনও কাজ নয়।
সংস্থাটি জানিয়েছে, এক্ষেত্রে যখনই এই বক্ষ বন্ধনী ব্যবহারকারী নিজের অন্তর্বাসটি খুলবেন তখনই ট্যুইট হয়ে যাবে। ফলে ট্যুইট হওয়া মাত্র ওই ভদ্রমহিলার মনে পড়বে তাকে এবার ব্রেস্ট চেক আপ করাতে হবে। এভাবে বার বার ট্যুইট হলে বার বার রিমাইন্ডার যাবে তার কাছে। ফলে তিনি চেক আপের ব্যাপারটি অবহেলা করে ফেলে রাখতে পারবেন না।
নেসলে ফিটনেস ও অগলভি আরও জানিয়েছে, বিশ্বে এই ধরনের অন্তর্বাস এই প্রথম যেটি আপনাকে বার বার মনে করাবে মাসে একবার করে অন্তত আপনার স্তন পরীক্ষার সময় এসে গেছে। স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ করার জন্যই এই দাওয়াই। এতে ক্রেতারা ভালই সাড়া দেবে বলে মনে করছে সংস্থাটি।