
তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে টার্নিং পয়েন্টে। এইদিনে দেশবিরোধী চক্রান্ত রুখে দিয়ে দেশপ্রেমিক সিপাহী জনতা রাজপথে গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের শুচনা করে। রাজনৈতিক সকল ষড়যন্ত্র পিছনে ফেলে শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে দল-মত, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ রাজপথে নেমেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় শহীদ জিয়া বাকশালী দুঃশাসন থেকে জাতিকে মুক্ত করে, বহুদলীয় গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, সাংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং বাক ও ব্যাক্তি স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই বর্তমান ফ্যাসিবাদী আওয়ামী জাহিলিয়াত থেকে দেশ ও জনগনের মুক্তির লক্ষ্যে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়া সময়ের দাবী। সংলাপ সমযোতার মাধ্যমে চলমান অস্থিরতা ও সংকট থেকে উত্তারনে সর্বদলীয় সংলাপের মাধ্যমে অংশগ্রহন মুলক জাতীয় নির্বাচনের কোন বিকল্প নাই। সংলাপ ব্যর্থ হলে সংঘাত সংঘর্ষের রাজনীতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।
তিনি আজ (সোমবার) বেলা ১১ টায় একুশে মিলনায়তনে লেবার পার্টি ঢাকা মহানগর আয়োজিত ৭ নভেম্বরের চেতনা ও শহীদ জিয়া শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
মহানগর লেবার পার্টির সভাপতি শামসুদ্দিন পারভেজের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন লেবার পার্টির মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী। বিশেষ অতিথি ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট ফারুক রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান চৌধুরী মুকুল, শিক্ষকনেতা জাকির হোসেন। বক্তব্য রাখেন মহানগর সাধারন সম্পাদক মাহমুদ খান, সহ সভাপতি শেখ মিজানুর রহমান, মোঃ নাছির উদ্দিন হাওলাদার, যুগ্ম-সম্পাদক মোঃ সালাউদ্দিন, মিরাজ হোসেন তুষার, সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল পাটোয়ারী, ইমরান হোসেন মুন্সি, ছাত্রমিশন সভাপতি কামরুল ইসলাম সুরুজ, সহ-সভাপতি সালমান খান প্রমুখ।
লেবার পার্টির মহাসচিব হামদুল্লাহ মেহেদী বলেন, ৭ নভেম্বরের চেতনায় জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সরকার জনগনের সাথে গনতন্ত্র ও আইনের শাসন নিয়ে কানামাছি খেলছে। একদিকে তারেক রহমানের নামে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা দিচ্ছে অন্যদিকে দিবালোকে গাইবান্ধায় শিশুকে গুলি করার মামলায় এমপি লিটনকে জামিনে মুক্তি দিয়েছে। সরকার মুলত অপরাধীদের বিচার নয় জাতীয়তাবাদী ও ধর্মীয় মুল্যোবোধে বিশ্বাসী শক্তিকে নিচিহ্র করতে চায়। তাই ৭ নভেম্বরের চেতনাকে ধারন করে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়তে হবে।