খোলা বাজার২৪ ॥ শুক্রবার, ২০ নভেম্বর ২০১৫ : বাঙালি পুরুষরা কোনোভাবেই রান্নাঘরে নিজেদের মানানসই করে নিতে পারে না। অপ্রয়োজনে তো নয়ই, প্রয়োজনের সময়ও রান্নার কাজে বাঙালি পুরুষরা রান্নাঘরের বাইরেই নিজেদের পুরুষত্ব ধরে রাখতে চায়। রান্নাঘর যেন বাঙালি পুরুষদের জন্য বিরক্তির জায়গা।
অথচ এই রান্নাঘরই আপনাকে আপনার দাম্পত্য জীবনকে আরো মধুময় আনন্দময় করে তুলতে পারে। আমাদের পরিবারগুলোতে অহরহই যৌন কলহ লক্ষ্য করা যায়। যা এক পর্যায়ে সাংসারিক অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু আপনি যদি আপনার সঙ্গীনীর সঙ্গে বাড়ির কাজে একটু বেশি সময় দেন, তাহলে আপনার যৌন জীবন অনেক বেশি সুখময় হবে।
এমনটাই বলছেন, কানাডার আলবার্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। এই বিষয়ে প্রায় ১৩শ’ দম্পতির উপরে গত ৫ বছর ধরে সমীক্ষা চালিয়েছে তারা। সুদূর কানাডার আলবার্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সমীক্ষার ফল প্রকাশ্যে আসার পর এই বিষয়ে নিজের মতামত দিয়েছে এ দেশের বিশেষজ্ঞরাও।
কারণটা খুবই স্পষ্ট। কানাডা, আমেরিকা কিংবা ইউরোপের সংস্কৃতি, জীবযাপনের মান একেবারেই ভিন্ন। তাহলে সেই সমীক্ষার ফল কি আমাদের দেশের সঙ্গেও মানানসই? এই প্রশ্ন করা হলে, সীমা হিঙ্গুরানী, অমৃতা সাংভি শাহ এবং শ্যাম মিথিয়ার মতো সমাজতত্ববিদরাও মানছেন আলবার্তা বিশ্বিবদ্যালয়ের এই সমীক্ষার ফল।
তাদেরও বক্তব্য মূলত এটাই। যদিও ভারতের ক্ষেত্রে এমন ইঙ্গিত বেশি শহর এবং শহরতলিতেই। গ্রামের দিকে এমনটা মোটেই নয়। গ্রামের মহিলারা খুব একটা চান না যে, তাদের স্বামী তাদের সঙ্গে ঘরের কাজে হাত লাগাক। কিন্তু শহরের মেয়েরা চান, তাদের স্বামী, তাঁদের সঙ্গে ঘরের কাজে হাত লাগাক। বাচ্চা থাকেল, তার দেখভাল করুক। আর খুবই ভাল হয় যদি, স্বামীরা তাদের রান্নার কাজে একটু সাহায্য করেন।
যদি ঘরের কাজ মেয়েদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ছেলেরাও করে, এতে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। একে অপরের সঙ্গে বোঝাপড়া অনেক বেশি তৈরি হয়। আর এতে যেহেতু সম্পর্কের উন্নতি হয়, তাই যৌন জীবনও গাঢ় হয়।
তাহলে কী বুঝলেন? যদি আপনি পুরুষ হন, তাহেল দেরি না করে, আজ থেকেই ঘরের কাজে আপনার স্ত্রীকে একটু সঙ্গ দিন। সমীক্ষা যদি ঠিক হয়, তবে নিশ্চয়ই উপকার পাবেন আপনার বিবাহিত জীবনে। আরো বেশি সুখময় হবে আপনার যৌন জীবন।