Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

79খোলা বাজার২৪ ॥ শুক্রবার, ২০ নভেম্বর ২০১৫ : জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকসহ জনপ্রিয় সব অ্যাপ বন্ধ করে দেয়ার পর এখন চলছে লুকোচুরি খেলা। সরকারি নির্দেশকে পাশ কাটিয়ে ব্যবহারকারীদের অনেকেই ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে এসব মাধ্যমে ঠিকই ঢু মারছেন অনেকে।
নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসির নির্দেশে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ফেইসবুক, ভাইবার ও হোয়াটসঅ্যাপসহ ১০টির মতো জনপ্রিয় মাধ্যমে ব্লক করে রেখেছে। এতে সাধারণরা এসব মাধ্যম থেকে দূরে থাকলেও প্রযুক্তিগত জ্ঞানে এগিয়ে থাকা ব্যবহারকারীরা ঠিকই এগুলোতে ঢুকতে পারছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সবুজ সংকেত পাওয়ার আগে পর্যন্ত এগুলো খুলে দেয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সাকা চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার পর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখে এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।
এ দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাসির রায়ের রিভিউ খারিজের আদেশ বৃহস্পতিবার রাতে কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছেছে। সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত রায় কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার কয়েক দফা বৈঠক করেছে টেলিযোগাযোগ বিভাগ। এসব বৈঠকে বিটিআরসি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তারাও ছিলেন।
বৈঠকে বলা হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে ফেইসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অত্যন্ত গুরুত্ব রয়েছে। এর চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ মানুষের জীবনের। ফলে সহসা এসব মাধ্যম খুলে দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
বৈঠকে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, ‘অন্তত পক্ষে পরিস্থিতি নিরাপদ এবং স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এসব মাধ্যম বন্ধ থাকবে। তার নিজের জন্যও কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু এসব যোগাযোগ কেন্দ্রিক সমস্যার বাইরেও মানুষের নিরাপত্তা অনেক বড়। এ জন্য সরকার সেই দিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।’
এদিকে বৃহস্পতিবার সংসদে এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ রাখার পক্ষপাতি তারা।
এর আগে গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী প্রথমে এক সংবাদ সম্মেলনে পরে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরেও জানান, প্রয়োজনে এসব যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ রাখা হবে।’
তবে যোগাযোগের এসব মাধ্যম বন্ধ করার চেয়েও বুধবার দেড় ঘণ্টার জন্যে ইন্টারনেট বন্ধ করাই সেক্টরের জন্যে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।