খোলা বাজার২৪ ॥ শনিবার, ২১ নভেম্বর ২০১৫ : আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে দাবি করে খালেদা জিয়া দেশে ফেরার পর তার নিরাপত্তা জোরদারের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
চিকিৎসার জন্য আড়াই মাস ধরে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপি চেয়ারপারসনের শনিবার বিকালে দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন এক বিবৃতিতে বলেন, “দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের দল উদ্বিগ্ন।
“তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপ্রতুল হওয়ায় আরো জোরদারে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
গত ১৬ সেপ্টেম্বর চোখের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। সেখানে বড় ছেলে তারেক রহমান ও তার পরিবারসহ প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও মেয়েদের নিয়ে একসঙ্গে ঈদ করেন বিএনপি প্রধান।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রিপন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ২১ নভেম্বর বিকাল ৫টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজে খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
“দেশের ক্রান্তিকাল ও রাজনীতির সঙ্কট বিবেচনা করেই আমাদের দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসা অসমাপ্ত রেখে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”
খালেদার লন্ডনে অবস্থানের মধ্যেই বাংলাদেশে দুই বিদেশি নাগরিক খুন হয়েছেন এবং তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে দুই পুলিশকে, যেসব ঘটনার জন্য বিএনপি নেত্রীকেই দায়ী করে আসছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরিই বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ‘বানচালের উদ্দেশ্যে’ বিদেশে বসে খালেদা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার ‘ষড়যন্ত্র’ করছেন।
অন্যদিকে বিএনপি বলে আসছে, সরকার নিরাপত্তা দিতে ‘ব্যর্থ হয়ে’ এখন তাদের ওপর ‘দায় চাপাচ্ছে’।
চিকিৎসা নিয়ে কোরবানির ঈদের পর খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন বলে এর আগে জানিয়েছিলেন বিএনপি নেতারা। কিন্তু দুই মাসেও তিনি না আসায় খালেদা আদৌ ফিরবেন কি না- সেই সন্দেহ প্রকাশ করতে শুরু করেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলার হুকুমের আসামি খালেদা দেশে ফিরতে চাইলে বাধা দেওয়া হবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নেরও মুখোমুখি হতে হয়েছে সরকারকে।
গত ১৬ নভেম্বর সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, “দেশে আসাতে (খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান) কোনো বাধা দেব না, স্বাগত জানাব। কারণ বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে আসাই বাঞ্ছনীয়।”