Wed. Jun 18th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

69খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৫: জামায়াতে ইসলামের পাশাপাশি বিএনপিও যুদ্ধাপরাধীদের দল বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
সোমবার ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে হরতালবিরোধী সমাবেশে তিনি বলেন, “শুধু জামায়াতে ইসলামী নয়, বিএনপিও যুদ্ধাপরাধীদের দল। সেটা এবার সাকা চৌধুরীর রায়ের পর তারা প্রমাণ করেছে।”
মুসলিম লীগ নেতা পাকিস্তান গণপরিষদের সাবেক স্পিকার ফজলুল কাদের চৌধুরীর ছেলে সালাউদ্দিন কাদের একাত্তরে ‘চট্টগ্রামের ত্রাস’ হিসেবে কুখ্যাত ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর দালাল আইনে গ্রেপ্তার হয়ে বন্দি অবস্থায় মারা যান ফজলুল কাদের। তার ছেলে সালাউদ্দিন বাংলাদেশের মন্ত্রীও হয়েছিলেন।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে রোববার প্রথম প্রহরে সাকা চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়। একই সময়ে ফাঁসি কার্যকর করা হয় আরেক যুদ্ধাপরাধী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের।
এর পরপরই সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে সোমবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের বার্তা দেয় একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দল জামায়াত।
সাকা চৌধুরীর প্রসঙ্গ তুলে সমাবেশে হাছান মাহমুদ বলেন, “ফাঁসির আগে পর্যন্ত তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য পদে আসীন ছিলেন। উপরন্তু বিচার প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক বলে মন্তব্য করেছিল বিএনপির নেতারা।
“বিএনপি মূলত যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে দলগত অবস্থান গ্রহণ না করে প্রমাণ করেছে যে তারাও যুদ্ধাপরাধীদের দল। এ দায় তারা এড়াতে পারে না।”
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান বলেন, “রায় কার্যকরের পরে হরতাল ডেকে জামায়াত বাংলাদেশের আইন ও আদালতকে অবমাননা করেছে। যারা আদালতের রায় মেনে না নিয়ে হরতাল ডাকে তাদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।
”আশা করি- আদালত জামায়াতকে যুদ্ধাপরাধীদের দল হিসেবে রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি দেশের আইন-আদালত অমান্যকারী দল হিসেবেও নিষিদ্ধ করবে।”
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, বরিশালের সংসদ সদস্য তালুকদার মো. ইউনুছ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সহ সম্পাদক বলরাম পোদ্দার, কাউন্সিলার হাসিবুর রহমান মানিক প্রমুখ।