খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০১৫ : বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভারত সরকার ইতিবাচক অত্যন্ত মনোভাব রয়েছে। সড়ক পথে যোগাযোগ বাড়ানোর সঙ্গে নৌপথেও পর্যটকরা যাতে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ করতে পারেন এর বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই দুই দেশের মধ্যে যাত্রীবাহি নৌযান চলাচল করবে। কলকাতায় এই কথা বললেন, ভারতের কেন্দ্রীয় যোগাযোগমন্ত্রী নিতিন গড়করি। গতকাল বুধবার সকালে কলকাতায় ভারত-বাংলাদেশ-নেপাল-ভূটানের মধ্যে মৈত্রী র্যালির আনুষ্ঠিক সমাপ্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় যোগাযোগমন্ত্রী নীতিন গড়গরি।
আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি এই র্যালীর সমাপ্তি ঘোষণা করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের যুব ও আবাসন মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস। নীতিন গড়করি বলেন, যোগাযোগ ভাল হলে দুই দেশের অর্থনৈতিক সামাজিক উন্নয়ন হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল করতে আরো কিছু বিষয় নিয়ে কথা চলছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফেও কিছু প্রস্তাবনা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এসেছে। সেগুলো পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই সড়কপথের উন্নয়নের জন্য ভারত সরকার ইতিমধ্যে ১ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রয়োজনে ভারত সরকার আরো আর্থিক সাহায্য করবে। নীতিন গড়করি বলেন, শুধু সড়কপথে যোগাযোগ বাড়ছে তাই নয় এই মধ্যদিয়ে এই চার দেশের মানুষের হৃদয়ের সঙ্গে হৃদয়ের যোগাযোগও বাড়বে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে।
১৯ দিন আগে এই মৈত্রী র্যালি ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করে। প্রায় সাড়ে চার হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মঙ্গলবার গভীর রাতেই পশ্চিমবঙ্গের পেট্টাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতের প্রবেশ করে র্যালী। ২০ টি গাড়ির এই র্যালী গভীর রাতেই পৌছায় কলকাতার তাজবেঙ্গল হোটেলে। বুধবার সকাল ৯ টায় কলকাতার প্রিন্সেপঘাটে সাড়ম্বর আয়োজনের এই সমাপ্তি অনুষ্ঠানে যোগ দেন পশ্চিমবঙ্গের যুব কল্যাণ ও আবাসনমন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নিরোধ কুমার মন্ডলের নেতৃত্বে র্যালী থেকে যোগ দেওয়া ৬ সদস্যাও ছিলেন অনুষ্ঠানে।